সম্পাদক সমীপেষু...
কিছু গানও
প্রয়াত শ্যামল ঘোষ (‘নক্ষত্র’, কলকাতার কড়চা, ১৩-১) কিছু আধুনিক বাংলা গানও রচনা করেছিলেন। সেগুলি রেকর্ডে ধৃত এবং জনপ্রিয় হয়েছিল। যথা, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে ‘সাতনরী হার দেব’ (শিল্পী: দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়), ‘সন্ধ্যালগনে স্বপ্নমগনে’ (শিল্পী: সুবীর সেন), ‘মল্লিকা চেয়েছে যে’ (শিল্পী: উৎপলা সেন), ‘ও আমার কাজল পাখি’ (শিল্পী: পান্নালাল ভট্টাচার্য) এবং প্রবীর মজুমদারের সুরে ‘কনকচাঁপা ধান’ (শিল্পী: তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়), ‘আজ বিকেলের ডাকে তোমার চিঠি পেলাম’ (শিল্পী: বনশ্রী সেনগুপ্ত)। রেডিয়োর রম্যগীতির জন্যও লিখেছিলেন একটি গান: ‘অনেক তারা ফুটবে যখন’। সতীনাথ মুখোপাধ্যায় গেয়েছিলেন অলোকনাথ দে-র সুরে।
একটি সংশোধন। ‘নয়নকবীরের পালা’ নাটকটির লেখক নভেন্দু সেন। শুভেন্দু নয়। নাটকটি লেখা হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। সে বছরই শ্যামল ঘোষের নির্দেশনায় নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। এটি নভেন্দুর প্রথম মঞ্চসফল নাটক। মাত্র ২৪ বছর বয়সে লেখা। নভেন্দু নাটকটি শ্যামল ঘোষকে শোনান। পছন্দ হয় তাঁর। খুব কম সময়ে তৈরি করে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। বাংলা নাটকের বিষয়ভাবনা ও আঙ্গিকের ক্ষেত্রে নভেন্দু সেনের ‘নয়নকবীরের পালা’ বিশেষ অভিঘাত সৃষ্টি করেছিল। নাটকটি পরে ১৯৭১ সালে ‘বহুরূপী’ পত্রিকায় মুদ্রিত হয়।
ব্রিজ অ্যান্ড রুফ
আমাদের সংস্থা সম্পর্কিত অভিযোগ (‘যৌন হেনস্থার নালিশ...’, ৫-১) ভিত্তিহীন। সত্য এই, লিন্ডা এ্যালেন, বহিরাগত স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যা-সহ অভ্যন্তরীণ অভিযোগ সমিতির অন্যান্য সদস্যাদের অগোচরে, একক ভাবে, তাঁর অবসরের দু’দিন আগে দোষী সাব্যস্তের রায় দেন। পক্ষান্তরে, বহিরাগত স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যা-সহ অভ্যন্তরীণ অভিযোগ সমিতির বাকি ছয় সদস্যা দ্বারা শ্রী এম কে সিংহ নির্দোষ প্রমাণিত হন।
কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স সংস্থার নিয়ম অনুসারে রাষ্ট্রীয় সংস্থার অভিযুক্ত আধিকারিক হিসাবে লিন্ডা এ্যালেন তাঁর অবসরকালীন প্রাপ্য প্রাপ্ত হয়েছেন। অবশিষ্ট অনাদায়ী প্রাপ্যের আবেদনে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট উত্থাপিত রিট পিটিশনের উত্তরে লিন্ডা এ্যালেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন মাননীয় বিচারক। মামলাটি এখন বিচারাধীন এবং কোর্ট নির্দেশিত পথে অনুসৃত।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত অন্য মামলাগুলি ব্রিজ অ্যান্ড রুফ-এর আধিকারিকদের সংগঠনের অবদান। যৌন নিগ্রহের ভুয়ো অভিযোগ এবং তার তদন্ত পূর্বতন সি এম ডি’র অবসরের পরের সময়ই সূচিত হয়, যা পরবর্তী সময়েও কোর্টে তাঁর মেয়াদবৃদ্ধি মামলা চলাকালীনও চলে। প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ আদালত এস এল পি খারিজ করার সময় ব্রিজ অ্যান্ড রুফ-এর আধিকারিক সংগঠনের নিন্দা করে বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে মহামান্য কোর্টের সময় এবং সম্পদ নষ্ট করার জন্য আমরা বি অ্যান্ড আর আধিকারিক সংগঠনের ওপর দৃষ্টান্তমূলক খরচের বোঝা চাপাতে পারতাম, কিন্তু আমরা বিরত থাকছি যেহেতু স্পেশাল লিভ পিটিশনটি শুরুতেই খারিজ হয়ে যায়।”
আর, চলতি আর্থিক বছরে আমাদের সংস্থা আশাতীত ফল লাভ করেছে অর্ডার বুকিং এবং টার্নওভার-এর নিরিখে। তাই সংস্থার অর্ডার নষ্ট হওয়ার খবর সর্বৈব ভুল।
প্রতিবেদন লেখা হয়েছে কর্মিবর্গ মন্ত্রকের অফিস মেমোরান্ডাম-এর (২-১) ভিত্তিতে, যেখানে এই মন্ত্রক ভারী শিল্প মন্ত্রককে ব্রিজ অ্যান্ড রুফ-এর সিএমডি মহেন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও অন্যান্য অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়নি। কারণ সংস্থার তরফেই স্বীকার করা হচ্ছে, মামলাটি বিচারাধীন। তবে মহেন্দ্র সিংহ যে এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘চক্রান্ত’ বলেছেন, তা-ও প্রতিবেদনে রয়েছে। বাকি সব তথ্যও সরকারি নথি ও মামলার ভিত্তিতেই লেখা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.