|
|
|
|
নির্বাচনী জোট নিয়ে বিতর্ক চান না লালু |
স্বপন সরকার • পটনা
১৫ জানুয়ারি |
নির্বাচনী জোট নিয়ে বিতর্ক এড়াতে, নেতাদের জনসমক্ষে কোনও বিবৃতি না-দেওয়ার নির্দেশ দিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। দলীয় সাংসদ রঘুবংশ প্রসাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিতর্কের জেরেই তিনি এমন ফরমান জারি করলেন। ভোটের ময়দানে নামার প্রস্তুতি হিসেবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ‘ট্যুইটার’-এ অ্যাকাউন্টও খুললেন আরজেডি শীর্ষনেতা।
আজ মকর সংক্রান্তির অনুষ্ঠানের পর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন লালু। সেখানেই তিনি ওই পরামর্শ দেন। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় জামিন পাওয়ার পর, এ দিনই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বার দলীয় বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। সেখানে হাজির ছিলেন দলের প্রথম সারি থেকে জেলা স্তরের নেতারা। লালু জানিয়ে দেন, তাঁদের লড়াই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে। সর্বশক্তি দিয়ে বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীকে রুখতে হবে। আরজেডি সূত্রের খবর, নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে সম-মনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে তিনিই যে শেষ কথা বলবেন, তা-ও স্পষ্ট করেছেন লালু। নেতারা সকলেই তাতে সম্মতি জানিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের মুজফফ্রনগরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ নিয়ে সে রাজ্যের সরকারের সমালোচনাও করেন লালু। বৈঠকে তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশে কোনও সরকার রয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। সংখ্যালঘুরা বিপন্ন। সেখানে তাঁদের দেখার কেউ নেই।” কয়েকদিন আগে রামবিলাসের লোকজনশক্তি পার্টির (এলজেপি) সঙ্গে আঁতাত নিয়ে রঘুবংশ প্রসাদের বক্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়। ওই সাংসদ বলেছিলেন, ‘এলজেপি-র কোন প্রার্থী, কোন কেন্দ্রে দাঁড়াবেন তা আগে জানাতে হবে।’ তার প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল এলজেপি। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, আরজেডি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এলজেপি নেতারা জেডিইউ-এর সঙ্গে সমঝোতা করতে পারেন। জেডিইউ শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছিল, এলজেপি-র সঙ্গে জোট গড়তে তাঁদের আপত্তি নেই। তবে, প্রকাশ্যে রামবিলাস পাসোয়ানকে জানাতে হবে, তিনি আরজেডি-র সঙ্গে থাকছেন না।
লোকসভা ভোটের জন্য লালুর প্রস্তুতি বৈঠকের আগেই আরজেডি ছেড়ে জেডিইউ-তে যোগ দিলেন দলের প্রথম সারির নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ অনিল কুমার। লালুপ্রসাদের জেলা গোপালগঞ্জের ওই নেতা আজই জেডিইউ-র রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠনারায়ণ সিংহের কাছ থেকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন। |
|
|
|
|
|