|
|
|
|
|
|
বিমায় বদল
নতুন বছরে বদলে গেল জীবনবিমার চিত্র। তাই পলিসি কেনার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন। পরামর্শ দিলেন প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী |
মাছ, পুরী আর জীবনবিমা।
অনেকে বলেন, অধিকাংশ বাঙালির জীবনেই এই তিনটি প্রায় অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ভাতের থালা সামনে পাওয়া মানেই অবধারিত ভাবে মাছের খোঁজ। কয়েক দিনের ছোট্ট ছুটি মানেই পুরীর ট্রেন। আর প্রথম বেতন হাতে পেতেই একখানা লম্বা মেয়াদের জীবনবিমা। এর ব্যতিক্রম হয়েছে, এমন বাঙালির সংখ্যা হয়তো হাতে গোনা।
বিমাপ্রিয় বাঙালির জন্য ইংরেজির এই নতুন বছরে জম্পেশ সুখবর এনেছে বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ। সাধারণ বিমার পর এ বার জীবনবিমার নিয়মকানুনও ঢেলে সেজেছে তারা। যাতে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যাঁরা নতুন পলিসি করেছেন বা আগামী দিনে করবেন, তাঁরা আরও অনেক বেশি স্বচ্ছ পরিষেবা পান। সেইসঙ্গেই বাড়ে প্রকল্প থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ এবং গ্রাহকের মৃত্যুর পরে পরিবারের প্রাপ্য টাকার অঙ্ক। এমনকী পলিসি সারেন্ডার করলেও যেন আগের থেকে টাকা পাওয়া যায় অনেক বেশি। |
|
বলা বাহুল্য, এই সমস্ত নয়া নিয়ম দেশে ব্যবসা করা সব বিমা সংস্থার জন্যই প্রযোজ্য। তাই এর সুবিধাও পাবেন দেশের সর্বত্র জীবনবিমার নতুন প্রকল্প কেনা সমস্ত গ্রাহকই। তাই সে দিক থেকে দেখলে একটা মস্ত পরিবর্তন হচ্ছে জীবনবিমায়। সেই বদলের চেহারা ঠিক কেমন, আসুন আজ সেই আলোচনায় বসি— |
এক বিমা-এক নিয়ম |
এত দিন নিজেদের পছন্দসই শর্ত জুড়ে দিয়ে প্রকল্প তৈরি করত বিমা সংস্থাগুলি। ফলে একই ধরনের পলিসির সুযোগ-সুবিধাও বিভিন্ন সংস্থার ক্ষেত্রে হত আলাদা। কিন্তু আইআরডিএ জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে সমস্ত বিমা সংস্থাকে একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। মূলত সেই উদ্দেশ্যেই এই ঢেলে সাজা।
অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে বেশ খানিকটা সুবিধা হবে গ্রাহকদের। কারণ, আগের মতো প্রকল্পে আর ইচ্ছেমাফিক শর্ত বসিয়ে দিতে পারবে না বিমা সংস্থাগুলি। ফলে স্বচ্ছতা বাড়বে। সুরক্ষিত হবে গ্রাহক বা পলিসিহোল্ডারদের স্বার্থ। জীবনবিমার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণের জন্য নিশ্চিত করা যাবে দীর্ঘ মেয়াদে পলিসি কেনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও। |
সুবিধায় স্বচ্ছতা |
পলিসি থেকে গ্রাহক ঠিক কী কী সুবিধা পাবেন, পুরনো ব্যবস্থায় তা একমাত্র নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা থাকত ইউলিপ প্রকল্পের ক্ষেত্রে। কিন্তু নয়া নিয়মে বিমা সংস্থাগুলিকে তা উল্লেখ করতে হবে এনডাওমেন্ট এবং টার্ম পলিসির জন্যও। অর্থাৎ, যে-ধরনের প্রকল্পই আপনি কিনুন না কেন (তা প্রচলিত হোক বা বাজার ভিত্তিক), তার জন্য সুবিধার ওই ফিরিস্তি দিতে বাধ্য থাকবে বিমা সংস্থা।
শুধু এজেন্টের মুখের কথায় চলবে না। যে-কোনও ধরনের পলিসি করার সময়েই গ্রাহকের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা লিখিত ভাবে জানাতে হবে তাঁকে। এ নিয়ে কার্যত চুক্তি হবে এজেন্ট এবং পলিসিহোল্ডারের মধ্যে। তাতে সই করবেন উভয় পক্ষই। এবং পরে পলিসি নথির অঙ্গ হিসেবে ওই চুক্তিপত্রটিও গ্রাহক হাতে পাবেন।
সুবিধার এই লিখিত বয়ান থেকে যে-সমস্ত তথ্য আগাম জানতে পারা যাবে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে—
• তহবিলে জমা পড়া প্রিমিয়ামের টাকা বিভিন্ন জায়গায় লগ্নি করে ঠিক কী ধরনের রিটার্ন আশা করছে সংস্থা।
• ওই আয়ের ভিত্তিতে বোনাস কেমন দাঁড়াতে পারে।
• কোনও কারণে গ্রাহক পলিসি সারেন্ডার করতে বাধ্য হলে, আনুমানিক কত টাকা হাতে পাবেন, ইত্যাদি।
বিমা নিয়ন্ত্রকের মতে, আগে এই বিষয়গুলি নিয়ে লিখিত কিছু দিতে না-হওয়ায়, প্রায়শই লাগামছাড়া প্রতিশ্রুতি দিতেন এজেন্টরা। নতুন ব্যবস্থায় ভুল বুঝিয়ে পলিসি বিক্রির (মিস সেলিং) এই প্রবণতা কমবে বলেই তাদের দাবি। |
কড়া নজরদারি |
কোনও ইউলিপ প্রকল্পে প্রিমিয়াম হিসেবে জমা পড়া টাকা কোথায়-কোথায় লগ্নি করা যাবে কিংবা ওই তহবিল পরিচালনার পিছনে সংস্থা সব থেকে বেশি কত টাকা (এখন ২.২%) খরচ করতে পারবে, তার জন্য কিছু নিয়ম আগেই চালু করেছিল আইআরডিএ। এ বার অন্যান্য পলিসির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রয়োগ করতে চাইছে তারা।
এ জন্য তহবিল পরিচালনায় নজরদারির উদ্দেশ্যে সংস্থাগুলিকে বাধ্যতামূলক ভাবে একটি বিশেষ কমিটি (উইথ প্রফিটস কমিটি) গঠন করতে বলা হয়েছে। যার মধ্যে থাকতেই হবে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থার চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার (সিইও), চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার (সিআইও) এবং চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও)-কে। রাখতে হবে সংস্থার কর্মী নন, এমন এক স্বাধীন সদস্যকেও। তহবিলের টাকা কোথায় ঢালা হবে, সেই অনুমোদন দেওয়া ছাড়াও ওই তহবিল পরিচালনার খরচ নিয়ন্ত্রণ করবে এই কমিটি।
অনেকে মনে করেন, টাকা ঢালার আগে এ সব তথ্য হাতে পেলে, প্রকল্প বাছাইয়ে সুবিধা হবে গ্রাহকের। তবে আমার পরামর্শ যেখানে পলিসি কিনছেন, সেই সংস্থা নিয়ম মানছে কি না, কিংবা ওই কমিটি তারা গড়েছে কি না, শুরুতেই তার খোঁজ নিন। |
উদ্দেশ্য পূরণ |
আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ এখনও জীবনবিমাকে মূলত সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবে দেখেন ঠিকই। কিন্তু তার প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত গ্রাহকের মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারের আর্থিক সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায়, চড়া রিটার্নের আশ্বাসে গ্রাহক এমন পলিসি কিনেছেন যে, তাতে বিমার অঙ্ক নেহাতই সামান্য। অর্থাৎ কোনও কারণে তাঁর মৃত্যু হলে, তখন আক্ষরিক অর্থেই অকূলে পড়বে তাঁর পরিবার।
নতুন নিয়মে কিছুটা হলেও সেই পরিস্থিতি বদলানোর কথা। কারণ, গ্রাহকের মৃত্যুর পর যে-টাকা পরিবারের প্রাপ্য, নয়া ব্যবস্থায় তার ন্যূনতম অঙ্ক ঠিক করে দিয়েছে আইআরডিএ। যা বাধ্যতামূলক ভাবে মেনে চলতে হবে গ্রাহক এবং বিমা সংস্থাগুলিকে। |
|
যেমন, গ্রাহকের বয়স ৪৫ বছরের কম হলে, তাঁর মৃত্যুর পরে পরিবারের প্রাপ্য টাকা (ডেথ বেনিফিট) প্রথম বছরের মোট প্রিমিয়ামের অন্তত ১০ গুণ হতে হবে। বয়স ৪৫ বছর বা তার বেশি হলে তা হতে হবে ন্যূনতম ৭ গুণ। তবে যদি এমন হয় যে, গ্রাহক ইতিমধ্যেই যে- প্রিমিয়াম জমা দিয়েছেন, তার পরিমাণ ডেথ বেনিফিটের থেকে বেশি, সে ক্ষেত্রে নমিনি জমা হওয়া মোট প্রিমিয়ামের অন্তত ১০৫ শতাংশ টাকা হাতে পাবেন।
যাতে গ্রাহকের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার মোটা টাকা হাতে পায়, তা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি পলিসি বিপণনের উপরেও জোর দিচ্ছে আইআরডিএ। এ জন্য ওই ধরনের প্রকল্প বিক্রির ক্ষেত্রে এজেন্টদের বেশি কমিশন দেওয়ার নিয়ম চালু করেছে তারা। নয়া ব্যবস্থায় ১২ বছর বা তার বেশি সময় ধরে প্রিমিয়াম দিতে হওয়া পলিসি বিক্রির জন্য প্রথম বছরের প্রিমিয়ামের ৩৫% কমিশন পাবেন এজেন্টরা। প্রিমিয়ামের মেয়াদ কমলে, কমবে কমিশনের হারও। |
ছাড়লেও বেশি |
নয়া নিয়মে বাড়তে চলেছে বিমার সারেন্ডার ভ্যালু-ও। অর্থাৎ, দুই বা তিন বছর (যে ক্ষেত্রে যেমন) প্রিমিয়াম গোনার পর কোনও কারণে পলিসি আর টানতে না-পেরে যদি তা সারেন্ডার করেন, তা হলে এখন আগের তুলনায় কিছুটা বেশি টাকা পাবেন আপনি।
আসলে আগে এ বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট নিয়মই ছিল না। এক-এক প্রকল্পের জন্য এক-এক রকম নিয়ম চালু রাখত এক-একটি সংস্থা। সাধারণত প্রথম বছরের প্রিমিয়াম বাদ দিয়ে জমা দেওয়া বাকি টাকার ৩০% সারেন্ডার ভ্যালু হিসেবে হাতে পাওয়া যেত। কিন্তু নতুন নিয়মে জমা দেওয়া মোট প্রিমিয়ামের অন্তত ৩০ শতাংশ তিনি ফেরত পাবেনই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা ৯০% পর্যন্ত হতে পারে।
অবশ্য তেমনই পলিসি সারেন্ডারের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু শর্ত আরোপ করেছে বিমা নিয়ন্ত্রক। যেমন, যে-সমস্ত পলিসিতে ১০ বছরের কম সময় ধরে প্রিমিয়াম দেওয়ার কথা, সেখানে অন্তত দু’বছর চালিয়ে তবেই তা সারেন্ডার করা যাবে। আর ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে প্রিমিয়াম দেওয়ার কথা থাকলে, সারেন্ডার করার আগে প্রিমিয়াম গুনতে হবে অন্তত তিন বছর। উভয় ক্ষেত্রেই ওই ন্যূনতম নির্দিষ্ট সময়ের আগে পলিসি সারেন্ডার করলে, কোনও টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না। |
মিলবে বেশি ধারও |
জীবনবিমা পলিসি থেকে ধার নিতে গেলে, প্রথমেই ওই প্রকল্পের সারেন্ডার ভ্যালু খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থা। সাধারণত ওই সারেন্ডার ভ্যালুর ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ফলে নতুন ব্যবস্থায় প্রকল্পের সারেন্ডার ভ্যালু বাড়লে, স্বাভাবিক ভাবেই বাড়বে তা থেকে প্রাপ্য ঋণের অঙ্কও। |
আর খরচ? |
এই সমস্ত ব্যবস্থার ফলে জীবনবিমা করার খরচ বাড়বে কি না, বা বাড়লেও কতটা বাড়বে, এখনই হলফ করে তা বলা শক্ত। অনেকে মনে করছেন, যেহেতু বিমাকৃত অর্থের (সাম অ্যাশিওর্ড) অঙ্ক কিছু ক্ষেত্রে বাড়বে, তাই সেখানে প্রিমিয়ামও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে খরচ বিরাট কিছু বাড়বে না বলেই বিমা কর্তাদের অভিমত।
নতুন কোনও জীবনবিমা পলিসি কেনার আগে এই সমস্ত খুঁটিনাটি দেখে নিতে কোনও ভাবেই ভুলবেন না। |
রকমফের |
• এনডাওমেন্ট প্রকল্প: এই প্রকল্পই আমাদের দেশে জীবনবিমার ভগীরথ। হয়তো এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি জনপ্রিয়ও। একটা সময় ছিল, যখন বাজারে শুধু এই ধরনের প্রকল্পই চালু ছিল। তাই জীবনবিমা শিল্পে এটি চিরাচরিত (ট্র্যাডিশনাল) প্রকল্প হিসেবেও পরিচিত। এতে বিমার সুরক্ষার ছাতা যেমন গ্রাহকের মাথার উপর থাকে, তেমনই পুরো মেয়াদ প্রিমিয়াম গুনলে, তার শেষে হাতে পাওয়া যায় বোনাস-সহ টাকাও।
• ইউলিপ প্রকল্প: এক অর্থে এই প্রকল্প এনডাওমেন্টের ঠিক উল্টো। কারণ, বিমার সুরক্ষার মূল বিষয়টি একই থাকলেও, মেয়াদ শেষে প্রাপ্য টাকা এখানে পুরোপুরি বাজারের উপর নির্ভরশীল। কারণ, মিউচুয়াল ফান্ডের মতো এই প্রকল্পে সংগৃহীত অর্থও বিনিয়োগ করা হয় শেয়ার, ঋণপত্র ও মূলধনী বাজারে। ওই লগ্নি থেকে যা আয় হয়, তার থেকে প্রকল্প পরিচালনার খরচ বাদ দিয়ে যা থাকে, সেটাই ভাগ করে দেওয়া হয় গ্রাহকদের মধ্যে।
• টার্ম পলিসি: এই প্রকল্প তাঁদের জন্য, যাঁরা শুধু ঝুঁকির রক্ষাকবচ হিসেবেই বিমায় লগ্নি করেন। একে সঞ্চয় হিসেবে দেখেন না। কারণ, গ্রাহক মারা গেলে একমাত্র তবেই এই প্রকল্প থেকে টাকা পাওয়া যায়। নইলে মেয়াদ শেষে এক পয়সাও নয়। আমাদের দেশে এ ধরনের প্রকল্প এখনও তেমন জনপ্রিয় নয়। কিন্তু তেমনই এখানে তুলনায় অনেক কম প্রিমিয়ামে মোটা অঙ্কের কভারেজ মেলে। পশ্চিমী দুনিয়ায় জীবনবিমা বলতে কিন্তু লোকে সাধারণত টার্ম পলিসিই বোঝে। |
|
প্রিমিয়াম জোগানোই দায় |
• অনেকে পলিসি চালু করেও তা শেষ পর্যন্ত টানতে পারেন না। মাঝপথে প্রিমিয়াম জোগাড় করাই দায় হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে অনেকগুলো টাকা জলে যাওয়ার সম্ভাবনা। এ বিষয়ে আমাদের পরামর্শ: কষ্ট করেও অন্তত দুই থেকে তিন বছর (যে ক্ষেত্রে যেমন নিয়ম) প্রিমিয়াম দিন। নইলে বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে জমা দেওয়া পুরো টাকা।
• যে করে হোক এক বার তিন বছর প্রিমিয়াম দিয়ে দিতে পারলে হাতের সামনে অন্তত দু’টি বিকল্প খোলা পাবেন—
(১) পলিসি পেড-আপ: এ ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম আর দিতে হবে না। কিন্তু তেমনই তোলা যাবে না আগে জমা দেওয়া টাকাও। মেয়াদ ফুরোলে অন্যান্য বোনাস-সহ প্রাপ্য পেড-আপের অঙ্ক ফেরত পাবেন। আর মেয়াদ পূর্তির আগেই গ্রাহক মারা গেলে বোনাস সমেত পেড-আপ অঙ্ক হাতে পাবেন নমিনি।
(২) পলিসি সারেন্ডার: নাম থেকেই পরিষ্কার, এই পথ বাছা মানে বিমা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে প্রকল্পের টাকা নিয়ে বেরিয়ে আসা।
• মনে রাখবেন, পলিসি পেড-আপে পুরো মেয়াদ জুড়ে বিমার সুরক্ষা পান আপনি। কিন্তু পলিসি সারেন্ডারের ক্ষেত্রে তা হয় না। সেখানে সংস্থা টাকা মিটিয়ে দেওয়া মানে গ্রাহকের জীবনের ঝুঁকির দায় আর তাদের নয়।
• খেয়াল রাখা জরুরি যে, ইউলিপ প্রকল্পে পেড-আপের সুবিধা নেই। ঠেকায় পড়লে সেখানে শুধুমাত্র পলিসি সারেন্ডার করতে পারেন। |
|
|
|
|
|
|