জেলা পরিষদের বোডর্র্ গঠনের তিন মাস পরে মঙ্গলবার বিরোধী দলনেত্রী মনোনীত হলেন তৃণমূলের উত্তরা বর্মন। গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৭ আসনের জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ক্ষমতা বামেরা দখল করলেও, কংগ্রেস এবং তৃণমূল উভয়ই ৪টি করে আসন পাওয়ায় বিরোধী দলনেতার পদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এর আগে একবার বৈঠক ডেকেও বিষয়টি নিয়ে কোনও মীমাংসা হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। সম্প্রতি কংগ্রেসের জেলা পরিষদের এক সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এর পরেই তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যায়। মঙ্গলবার দলের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে রাজগঞ্জ থেকে নির্বাচিত উত্তরাদেবীর নাম পাঠানো হয়। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের উপস্থিতিতে জন প্রতিনিধিদের নিয়ে সভায় উত্তরাদেবীর নাম বিরোধী দলনেত্রী হিসেবে মনোনীত হয়। জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) দিব্যেন্দু দাস বলেন, “বিরোধী দলনেতা কে হবেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। এ দিন ওই সমস্যার মীমাংসা করে বিরোধী নেত্রী মনোনীত করা হয়েছে।” এ দিনের সভায় জেলা পরিষদের ৩৭ জন সদস্য ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংসদ, বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিলিয়ে আরও ১৫ জন জনপ্রতিনিধি। এ দিন বিরোধী দলনেত্রী মনোনীত হয়ে উত্তরাদেবী বলেন, “জেলার উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করব।” জেলা পরিষদে বিরোধী দলনেতা নির্বাচনের দাবিতে গত ২ জানুয়ারি জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। জেলা পরিষদের সিপিএম সভাধিপতি নূরজাহান বেগম বলেন, “গত ২৮ ডিসেম্বর বিরোধী দলনেতা নির্বাচনের কথা ছিল। উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েছি। সমস্যা মিটে যাওয়ায় এ বার সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে পারব।” |