কালিম্পঙের পরে এ বার সুখিয়াপোখরি। কৃষি মেলার উদ্বোধনে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে জিটিএ-এর আগামী উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরলেন জিটিএ-এর চিফ তথা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। মঙ্গলবার সুখিয়াপোখরিতে একটি মডেল হাইস্কুলের শিলান্যাসও করেছেন গুরুঙ্গ। স্কুল তৈরিতে প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এলাকায় কলেজ তৈরির জন্য জমি খোঁজা হয়েছিল, সেই জমি না মেলায়র কলেজ সরিয়ে পোখরিবঙের ধাজেতে নির্মাণ করা হবে বলে গুরুঙ্গ জানিয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় জিটিএ-এর দায়িত্ব নিয়ে উন্নয়নই যে তাঁর কাছে অগ্রাধিকার সেই বার্তা দিতেই গুরুঙ্গ বলেন, “সম্প্রতি আন্দোলনের সময় আমার নতুন উপলব্ধি হয়েছে। উন্নয়ন থমকে যাওয়ায় অনেকে দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সেটা আমাকে যন্ত্রনা দিয়েছেন। সে কারণেই বাসিন্দাদের অনুরোধ শুনে ফের জিটিএ-এর দায়িত্ব নিয়েছি। পাহাড়বাসীকে ভাল রাখাই লক্ষ্য।”
এ দিন সুখিয়াপোখরির রংবঙে কৃষি মেলার উদ্বোধন করে গুরুঙ্গ জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বাজেট বরাদ্দ বাবদ জিটিএ-এর প্রাপ্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা থেকে এলাকার পরিকাঠামো উন্নতির জন্য ১২-১৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। মিরিকের উন্নয়নের জন্য প্রায় ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। কী ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে তা স্থির করতে গুরুঙ্গ নিজে সব এলাকা পরিদর্শন করে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। জিটিএ সদস্যদের পাওয়া ভাতা বাঁচিয়ে পাহাড়ের প্রবীণ বাসিন্দা যাঁরা সরকারি সাহায্য পান না তাঁদের মাসিক ৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও কৃষি মেলায় জানিয়ে দিয়েছেন মোর্চা প্রধান। এ দিন ইন্দিরা আবাস যোজনার ঘর তৈরির দায়িত্ব পাওয়া সংস্থা বা ব্যক্তিদের যথাযথ কাজ করার পরামর্শও দিয়েছেন গুরুঙ্গ। |