আলু কেনার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলায় অভিযুক্ত জলপাইগুড়ির প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক গোবিন্দ রায় ফের দলে ফিরতে চলেছেন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি নেতাজি ফাউন্ডেশনে ফরওয়ার্ড ব্লক আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিলেন দলের জেলা নেতৃত্ব। এমনকী, গোবিন্দবাবু নিজেও বলেন, “২০১২ সালের অক্টোবর মাস থেকে একটি মামলায় জড়িয়ে থাকায় দলের কাছে অব্যহতি চেয়েছিলাম। গত ২৮ ডিসেম্বর রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ চিঠি দিয়ে ফের আমাকে দলে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন।”
গত ৫ ডিসেম্বর ফরোয়ার্ড ব্লকের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রবাল রাহা, সভাপতি অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা ও কর্মী দলত্যাগ করেন। অঞ্জনবাবু ছাড়া প্রত্যেকে তৃণমূলে যোগ দেন। ওই পরিস্থিতিতে দলের কাজ পরিচালনার জন্য রাজ্য কমিটি থেকে আব্দুস সাত্তারকে আহ্বায়ক করা হয়। এ দিন গোবিন্দবাবুকে পাশে বসিয়ে আব্দুস সাত্তার বলেন, “দ্রুত কনভেনশন করে গোবিন্দবাবুকে দলে ফেরানোর জন্য রাজ্য কমিটি নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার ওই কনভেনশন হওয়ার কথা ছিল। বিশেষ কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ৩১ জানুয়ারি ওই কনভেনশন হবে।”
বর্তমানে তৃণমূলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবাল রাহা অবশ্য তাঁর পুরানোর নেতাদের ফের সমালোচনা করেছেন। প্রবালবাবুর অভিযোগ, “গোবিন্দবাবুর জন্য ফরওয়ার্ড ব্লকের সম্মান নষ্ট হয়েছে। সে কথা রাজ্য নেতাদের বোঝাতে গিয়ে কটূক্তি শুনতে হয়েছে। ওই সময় টের পেয়েছি বাম রাজনীতির হাল। এখন আরও কদর্য চেহারা বের হবে।” অঞ্জনবাবু ওই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। দলত্যাগী এক ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা জানান, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে গোবিন্দবাবু আত্মগোপন করে আগাম জামিনের চেষ্টা করে যান। কিন্তু লাভ হয়নি। গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আলিপুরদুয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওই বছর পুজোর আগে জামিনে ছাড়া পান। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, বলা হয়েছিল আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়ার আগে গোবিন্দবাবুকে দলে নেওয়া হবে না। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে তাঁকে দলে ফেরানোর তৎপরতা শুরু হয়ে যায় বলে ওই নেতাদের দাবি। দলত্যাগী নেতাদের অনেকেরই দাবি, তাঁরা বিষয়টি টের পেয়ে দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। |