পরপর দু’বছর সংঘাতের পরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন পালন ঘিরে সরকার ও বিরোধীদের টানাপোড়েন এ বার সম্ভবত কাটতে চলেছে। এ বছর ২৩ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিঙে থাকার কথা। নেতাজি জয়ন্তীর সরকারি অনুষ্ঠান পাহাড়েঅ পালন করা হবে। কলকাতায় রেড রোডে নেতাজির জন্মদিনের চিরাচরিত অনুষ্ঠান বামেদেরই পালন করতে দেওয়া হবে বলে সরকারি সূত্রে আশ্বাস পেয়েছে বিরোধীরা। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন এবং মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সম্ভবত রেড রোডের নেতাজি মূর্তিতেই মালা দেবেন।
সরকারে আসার পরে প্রথম বছর রেড রোডের অনুষ্ঠান ঘিরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাত বেধেছিল বামফ্রন্টের। গত বছর মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়েছিলেন এলগিন রোডের নেতাজি ভবনে। রেড রোডে এসেছিলেন রাজ্যপাল এবং সুব্রতবাবুই। এ বার সরকারের পরিকল্পনা কী, জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতাজি জয়ন্তী কমিটির সম্পাদক, প্রাক্তন সাংসদ সুব্রত বসুর নামে চিঠি দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তার পরে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে চিঠি পাঠান ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রবীণ রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ। কোনও চিঠিরই উত্তর আসেনি। তবে জট ছাড়াতে ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জয়ন্ত রায় যোগাযোগ করেন সুব্রতবাবুর সঙ্গে। তখনই সরকারি পরিকল্পনার কথা জয়ন্তবাবুরা জানতে পেরেছেন বলে বাম সূত্রের খবর। ফ ব-র এক রাজ্য নেতার কথায়, “নেতাজি জয়ন্তী কমিটি ও বামফ্রন্ট মিলে প্রতি বারের মতো রেড রোডে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। সরকারের তরফে ওখানে শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে খবর পেয়েছি। তবে সরকারি ভাবে কোনও চিঠি এখনও আসেনি।”
লোকসভা ভোটের আগে ‘দেশপ্রেম দিবস’ পালনের ডাক দিয়ে নেতাজির নামাঙ্কিত ব্যাজ নিয়ে দেশ জুড়ে এক কোটি লোকের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা নিয়েছে ফ ব। গড়িয়াহাটে মঙ্গলবার এক টাকার বিনিময়ে ওই ব্যাজ বিতরণের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন অশোকবাবু।
|