|
|
|
|
পতিতাপল্লির অসুস্থ মহিলা উদ্ধার হাসপাতাল থেকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বেশি মাইনের কাজের লোভ দেখিয়ে মহিষাদলের পতিতাপল্লিতে তোলা হয়েছিল এক মহিলাকে। অসুস্থ হয়ে পড়লে গত রবিবার সকালে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময় ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। এরপরেই তমলুক থানার পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে মহিষাদল থানার পুলিশ আসে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই বধূকে আজ আদালতে তোলা হবে।
পুলিশের জেরায় উদ্ধার হওয়া বছর ছাব্বিশের ওই মহিলা জানিয়েছেন, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার রায়দিঘি এলাকায় বাড়ি তাঁর। স্বামীবিচ্ছিন্না। কলকাতার বালিগঞ্জে একটি আয়া সেন্টারে কাজ করতেন। ট্রেনে যাতায়াত করার সময় রোহিত নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। মাস চারেক আগে ওই যুবক মাসে ৭ হাজার টাকা বেতনের লোভ দেখিয়ে মহিষাদলে এক পতিতাপল্লিতে এনে তোলে। মহিলার কথায়, “সব কিছু বুঝতে পেরে আমি চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ওরা জোর করে আটকে রাখে। শারীরিক অত্যাচার করা হত। আমি বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হত।” গত শুক্রবার সকালে ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মুখ দিয়ে রক্ত বার হতে থাকে। তা দেখে ট্যাক্সিতে করে ওই মহিলাকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে আসে পতিতাপল্লির লোকেরা। মহিলার কথায়, “আমার সঙ্গে এক জন রেখে দিয়েছিল ওরা। আর হাসপাতালের নিচে ওদের কয়েকজন সবসময় নজর রাখত। তাই ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর আসল পরিচয় গোপন করে শাকিলা বিবি নামে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সায়রাবানু নামে এক মহিলা থাকতেন দেখাশোনার জন্য। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সময় ওই বধূ স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে তাঁর আসল নাম-ঠিকানা ও ঘটনার কথা খুলে বললে সায়রাবানু পালিয়ে যায়। |
|
|
|
|
|