জয় দিয়ে শুরু করলেন সঞ্জয় সেন। তাঁর মহমেডান ফেড কাপের প্রথম ম্যাচে ২-১ হারাল ইউনাইটেড সিকিমকে। তবে কলকাতার অন্য দুই দল ইউনাইটেড স্পোর্টস এবং ভবানীপুরের শুরুটা ভাল হল না। প্রথম ম্যাচে হারল এই দুই দল।
দর্শক ঠাসা মঞ্জেরি স্টেডিয়ামে এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল মহমেডান। প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোনও দলই। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে আরও ঝড় তুলে দলকে ২-০ এগিয়ে দেন পেন এবং জোসিমার। তবে ম্যাচের একদম অন্তিম লগ্নে ব্যবধান কমায় সিকিমের দলটি।
প্রথম ম্যাচ জিতে স্বভাবতই খুশি মহমেডান কোচ সঞ্জয় সেন। বললেন, “ফেড কাপে জয় দিয়ে শুরু করাটা জরুরি ছিল। ছেলেরা সেটা করে দেখানোয় ভাল লাগছে। তবে রাতে শিশির পড়লে মাঠে বল জোরে দৌড়াচ্ছে। এটার সঙ্গে রপ্ত করতে হবে ছেলেদের।” সঙ্গে এটাও বললেন, “গ্রুপে ডেম্পো জেতায় পরের ভবানীপুর ম্যাচ থেকেও তিন পয়েন্ট চাই আমাদের। না হলে সেমিফাইনালের রাস্তা জটিল হয়ে যাবে। ভবানীপুর এ দিন কিন্তু ভালই খেলেছে।”
অন্য দিকে, ম্যাচ হেরে ফের চাকরি ছাড়ার নাটক করতে শুরু করলেন এলকো সাতোরি। ফেড কাপে প্রথম ম্যাচে চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে হারের পর ইউনাইটেড কোচ বলে দিলেন, “এ রকম অবস্থা চলতে পারে না। কেন যে ফেড কাপ পর্যন্ত থাকতে রাজি হলাম? যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাকি দু’টো ম্যাচের পর নিতে হবে।”
ইউনাইটেড কর্তারা এখনও স্পনসর জোগাড় করতে পারেননি। কুড়িয়ে বাড়িয়ে নানা জায়গা থেকে টাকা নিয়ে ফুটবলারদের দাবি মেটাচ্ছেন। র্যান্টি মার্টিন্সরা সেই ইচ্ছার মূল্য দিতে পারলেন না। সুভাষ ভৌমিকহীন চার্চিল ব্রাদার্স অবশ্য জিতল কিছুটা কপাল জোরেই। ইউনাইটেডের দুই স্টপার অনুপম সরকার আর আজিজের ভুলেই দুটো গোল হজম করতে হল এলকোর টিমকে। মিশরের আবদেল হামিদ সাবানা আর পঞ্জাবের বলবন্ত সিংহকে অফসাইডের ফাঁদে ফেলতে গিয়ে গোল হজম করে ইউনাইটেড ডিফেন্স। র্যান্টি ১-২ করার পর অবশ্য অন্তত পাঁচটি গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিল কলকাতার ক্লাবটি। কিন্তু র্যান্টি-হেনরিরা সহজতম সুযোগগুলো নষ্ট করে ম্যাচ হারেন। তা সত্ত্বেও এলকো বললেন, “বেলো-হাসান না থাকায় হেরে গেলাম।” কিন্তু প্রশ্ন হল সব টিমই তো এরকম সমস্যায় পড়ছে। উগা ওপারাকে বহু ম্যাচে পায়নি ইস্টবেঙ্গল। ইচেকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন করিম বেঞ্চারিফা।
এলকোর দল অবশ্য অক্সিজেন পেল পরের ম্যচের ফলে। কোচির অন্য ম্যাচে পুণে এফ সি জিততে পারল না স্থানীয় দল ঈগলস এফ সি-র সঙ্গে। খেলা শেষ হল ১-১ গোলে। পুণের রিগা মুস্তাফার গোলের পর তা শোধ করে দেন ঈগলসের কোকো। মঞ্জেরিতে প্রধম ম্যাচে ভবানীপুর দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১-০ এগিয়ে থেকেও হেরে গেল ডেম্পোর কাছে। ১-২ গোলে। ডেম্পোর গোল দুটি বেটো এবং অলউইন জর্জের।
|