ভিভিআইপি দর্শকাসনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো গত রাতে ফিফা-র ব্যালন ডি’অর পুরস্কার অনুষ্ঠানে বসেছিলেন এক দিকে বান্ধবী আর অন্য দিকে ছেলেকে নিয়ে। ‘লস ব্ল্যাঙ্কোস’-এর মহাতারকা ফুটবলার কি জানতেন, সোমবারের রাতটা তাঁরই হতে যাচ্ছে?
পর্তুগিজ সুপার স্ট্রাইকারের হাতেই শেষ পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর ওঠার পর কিন্তু তাঁর নার্ভাসনেস দেখে ফুটবলমহল অবাক। জুরিখের পুরস্কার মঞ্চে রোনাল্ডো কাঁদলেন। সোনার বল হাতে কী বক্তব্য রাখবেন যেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পেলে আপনার নাম ঘোষণা করার পরের মুহূর্তে প্রথম অনুভূতি কী ছিল? সাংবাদিকদের প্রশ্নে রোনাল্ডো বলেছেন, “নিজেকে এ বারের ব্যালন ডি’অরের বিজয়ী আবিষ্কার করার পরেই মনের ভেতর বাঁধভাঙা আনন্দে ভেসে যাচ্ছিলাম। প্রচণ্ড গর্ব হচ্ছিল। বলে বোঝাতে পারব না!
আর ট্রফি হাতে মঞ্চ ছাড়ার আগে শেষ অনুভূতি? রোনাল্ডোর উত্তর, “দু’হাজার তেরোর মতোই দু’হাজার চোদ্দোতেও দর্শনীয় পারফরম্যান্স করতে হবে আমাকে। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব, যেমনটা আমি সব সময় করে থাকি। আর পরের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার অনুষ্ঠানেও আমাকে ফিরে আসতে হবে। আমার তৃতীয় ব্যালন ডি’অর-টা নিতে।” |
মঞ্চে উপস্থিত প্লাতিনি হাততালি দিচ্ছেন। আর ব্যালন ডি’অর নিচ্ছেন স্বয়ং পেলের হাত থেকে। এই দৃশ্য রোনাল্ডোকে গত রাতে অভিভূত করে দিয়েছিল। নিজেই সে কথা স্বীকার করে রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি গোলগেটার বলছেন, “একই মঞ্চে পেলে কয়েক মিনিট আগেই ফিফা ব্যালন ডি’অর প্রি ডি’অনার পান। আমার কাছে এটা বিরাট গর্বের ব্যাপার। মঞ্চটাই যেন আরও গর্বের হয়ে উঠেছিল। পেলে, প্লাতিনি ওঁরা ফুটবলের সর্বকালের গ্রেট। ওঁদের থেকে ব্যালন ডি’অর পাওয়ায় আমি আরও বেশি গর্বিত।”
ব্যালন ডি’অর জেতার রহস্য কী? বিশেষ করে টানা চার বছর অপেক্ষার পর? রোনাল্ডোর সোজাসাপ্টা জবাব, “প্রচুর পরিশ্রম করেছি। বছরভর ক্লাব আর দেশের হয়ে প্রতিটা ম্যাচে নিজের ক্ষমতার একশো শতাংশ দিয়েছি।” একই সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ আর পতুর্গাল দলের সব সতীর্থকে কৃতজ্ঞতাও জানাচ্ছেন রোনাল্ডো। “ফুটবলের মতো টিমগেমে দলগত ভাবে সেরা না খেললে ব্যক্তিগত সম্মানও পাওয়া যায় না। সে জন্য আমার ক্লাব আর জাতীয় দলের প্রতিটা সতীর্থ ফুটবলার, কোচ মোরিনহো, আন্সেলোত্তি কিংবা পাওলো বেন্তো সবার অবদান আছে আমার ব্যালন ডি’অর পাওয়ার পিছনে।”
ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানের কিছু ঘণ্টা আগে আবার রোনাল্ডোর প্রাক্তন সতীর্থ রিও ফার্দিনান্দ টুইট করেন যে সিআর সেভেনের হাতে সোনার বল না উঠলে তিনি উলঙ্গ হয়ে দৌড়বেন। যে প্রসঙ্গে রোনাল্ডো বলেন, “রিও আমার খুব ভাল বন্ধু। যখন আমি ম্যান ইউতে ছিলাম ও আমার প্রতিবেশী ছিল। গত বছর রিও আমায় অনেক বার ফোন করে ম্যান ইউতে ফিরে আসার জন্য।”
|
লিওনেল মেসি
ক্রিশ্চিয়ানোকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ও যোগ্য দাবিদার ছিল ব্যালন ডি’অর জেতার। আমরা তিনজনই খুব ভাল খেলেছি তাই নির্বাচিত হয়েছি। না জিততে পারায় আমার কোনও আক্ষেপ নেই। |
ফ্রাঙ্ক রিবেরি
আর কী করতে হত আমায় জেতার জন্য? যাই হোক আমার কোনও আক্ষেপ নেই। আমার প্রধান লক্ষ্য বিশ্বকাপ জেতা আর বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ঘরে তোলা। |
নেইমার
সব ফুটবলারই জানে যে ব্যালন ডি’অর জেতা কতটা কঠিন। আমি চেয়েছিলাম মেসি জিতুক। তবে রোনাল্ডোও আমার আর এক প্রিয় ফুটবলার। |
মিশেল প্লাতিনি
রিবেরির জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু আমি জানি সেরা ফুটবলার হওয়ার যোগ্য রোনাল্ডো। |
|