|
|
|
|
ফুটপাথেই ক্লাস, স্যারের পাশে ছাত্ররা |
সংবাদ সংস্থা • মুম্বই
১৪ জানুয়ারি
|
কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা করায় সাসপেন্ড হয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে কী? ছাত্রদের কাছে আজও তিনি ভীষণ কাছের ‘স্যার’। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঢোকার অনুমতি না মিললেও ফুটপাথের উপরেই দিব্যি চলছে অধ্যাপক নীরজ হটেকরের ‘ক্লাস’। সামনে বসে ছাত্ররা। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাসপেন্ড করলেও ছাত্রদের কাছে তিনি একই রকম গ্রহণযোগ্য।
অন্তত তেমন ছবিই উঠে এসেছে গত ক’দিনে। অধ্যাপক হটেকরের দাবি, সংবাদমাধ্যমের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজন ওয়েলুকারের বিরোধিতা করায় রাজনের বিরাগভাজন হতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর বয়ানে, “কোনও ধরনের সমালোচনা বা বিরোধিতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ...যখন ওয়েলুকার এখানে যোগ দিয়েছিলেন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ছিল ৯৬তম। এখন তা ১৫০-এ
নেমে গিয়েছে।” অধ্যাপক হটেকরের দাবি, এই অবনতির জন্য দায়ী রাজন ওয়েলুকারই। এ কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলায় চটে যান রাজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আর এ খান প্রশ্ন তোলেন, “গত তিন বছরে এই বিষয়গুলো নিয়ে উনি (অধ্যাপক হটেকর) কেন আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেননি?”
৪ জানুয়ারি সাসপেন্ড হন হটেকর। আর তার পর থেকেই প্রতিবাদ শুরু করেন ছাত্ররা। গত সপ্তাহে ক্লাস বয়কট করে ‘হটেকর স্যারের’ সমর্থনে স্লোগান দেন তাঁরা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তৈরি হয় বিশেষ পেজ। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। গেম থিওরি এবং মাইক্রোইকনমিক্সের এই অধ্যাপকের ক্লাস যে কোনও ভাবেই বন্ধ হবে না, তা নিশ্চিত করতে ফুটপাথেই শুরু হয় পঠনপাঠন। ছাত্রদের উৎসাহে সেখানেই পড়াচ্ছেন স্যার। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সে লড়াই কবে শেষ হবে, জানা নেই। তবে যা জানা, তা হল ফুটপাথেও স্যারের পাশে রয়েছে ছাত্ররা। যুদ্ধ জয় না হলেও, এ-ই বা কম প্রাপ্তি কী? |
|
|
|
|
|