|
|
|
|
বন্ধুর পেটে ভোজালি ধরে ছাত্রীকে গণধর্ষণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
১৪ জানুয়ারি
|
বন্ধুর পেটে ভোজালি ঠেকিয়ে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ক্যামেরায় তার ছবিও তুলেছে দুষ্কৃতীরা।
রবিবার রাঁচির রাতু থানা এলাকার কামড়ে মন্দিরের কাছে ঘটনাটি ঘটে। আতঙ্কিত ছাত্রীর পরিজনরা প্রথমে কাউকে কিছু জানাননি। সোমবার রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা নাবালক।
রাঁচির পুলিশ সুপার (সদর) মনোজরতন চোথে জানান, অভিযোগকারিণী ছাত্রী দশম শ্রেণিতে পড়ে। রবিবার সন্ধ্যায় এক বন্ধুর সঙ্গে কামড়ে মন্দিরে বেড়াতে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, কয়েকজন দুষ্কৃতী সেখানে হানা দেয়। দু’জনকে জোর করে মন্দিরের পিছনে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় তারা। পুলিশ সুপার বলেন, “৯ জন ছিল ওই দলে। আরও একজনের খোঁজ চলছে। সে প্রাপ্তবয়স্ক। প্রধান অভিযুক্ত ওই।”
নির্যাতিতা ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছে, রবিবার তার টিউশন পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে না-গিয়ে বন্ধুর সঙ্গে সে কামড়ে মন্দিরে বেড়তে যায়। অভিযুক্তরা সেখানেই ছিল। তাদের দিকে এগিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। দলের দু’জন ছাত্রীর বন্ধুটিকে মারধর করতে শুরু করে। বাকিরা তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বাধা দিতে যায় ওই বন্ধু। দুষ্কৃতী দলের একজন তার পেটে ভোজালি ঠেকায়। অভিযোগ, এরপর ওই ছাত্রীকে মন্দিরের পিছনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং-ও করে। ঘন্টাতিনেক ধরে নির্যাতন চলে। পরে, ছাত্রী ও তার বন্ধুকে ফেলে দুষ্কৃতীরা পালায়। |
|
|
|
|
|