|
|
|
|
প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ, বিপাকে দিল্লির মন্ত্রী |
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
১৪ জানুয়ারি
|
মামলায় প্রমাণ বদলানোর চেষ্টা ও সাক্ষীকে প্রভাবিত করার অভিযোগে বিপাকে পড়লেন দিল্লির আইনমন্ত্রী সোমনাথ ভারতী। তাঁর পদত্যাগ চেয়ে আম আদমি পার্টিকে (আপ) সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে ফেলেছে তাদের সমর্থক কংগ্রেস ও বিরোধী বিজেপি। তবে ভারতীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, এ ক্ষেত্রে আদালতের ভুল হয়ে থাকতে পারে।
একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০১৩ সালে একটি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত পবন কুমারের মামলা লড়েছিলেন ভারতী। তখন তিনি ও তাঁর মক্কেল সরকারপক্ষের এক সাক্ষীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে ভারতী ও পবনের কড়া সমালোচনা করেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক পুনম বাম্বা।
পুনম বলেন, “এই আচরণ কেবল অনৈতিক নয়, এটা প্রমাণ বদলানোর সামিল।” পবনের জামিনও বাতিল হয়ে যায়। এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে কংগ্রেস ও বিজেপি। বিজেপি নেতা হর্ষ বর্ধন সাফ জানিয়েছেন, “ভারতীর বিরুদ্ধে প্রমাণ বদলানোর চেষ্টা পাটিয়ালা হাউস কোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। বিচারকও তা স্বীকার করেছেন। কেজরিওয়াল নীতির কথা বলে থাকলে আইনমন্ত্রীকে সরান।” প্রায় একই সুর দিল্লিতে আপের জোটশরিক কংগ্রেসের। দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান অরবিন্দর সিংহ লাভলির কথায়, “আইনের রক্ষক আইনভঙ্গকারীতে পরিণত হয়েছেন। নীতির কথা বলে যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের এ বার নিজের বিবেককে প্রশ্ন করা উচিত।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারির মতে, আপ নেতৃত্ব মুখে যা বলেছেন এ বার তা কাজে করে দেখানোর সময়।
প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতী। তাঁর পাল্টা দাবি, কোনও সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলা নিষিদ্ধ নয়। নিষিদ্ধ হল সাক্ষীকে ভয় দেখানো। ওই মামলায় সিবিআই-ই ঠিক মতো তদন্ত করেনি। ব্যাঙ্কের ভিজিল্যান্স দফতর জানায়, অনেকে জালিয়াতিতে যুক্ত। কিন্তু, কেবল তাঁর মক্কেল পবন কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল সিবিআই। ভারতীকে সমর্থন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ও আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফোনে ওই সাক্ষীর সঙ্গে পবন ও ভারতীর কথাবার্তা স্টিং অপারেশনের সময়ে ক্যামেরাবন্দি হয় বলে অভিযোগ। কেজরিওয়ালের মতে, সংবাদমাধ্যমের উচিত ওই ভিডিও প্রচার করা। তা হলেই বোঝা যাবে প্রমাণ বদলানো হয়েছিল কি না। মুখে যে যা-ই বলুন না কেন, নীতির কথা বলে ক্ষমতায় আসা আপ নেতৃত্ব যে বেকায়দায় পড়েছেন, ততে সন্দেহ নেই সংশ্লিষ্ট কোনও শিবিরেরই। |
|
|
|
|
|