|
|
|
|
নতুনদের সুযোগ দিতে পদ ছাড়তে চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
১৪ জানুয়ারি
|
তাঁর নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেসের যুব বিধায়কদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী পদে বর্ষীয়ান তরুণ গগৈয়ের বদল চাইছিলেন। অনেক জলঘোলা হলেও গগৈকে হঠানো যায়নি। এ বার, তথাকথিত ‘বিদ্রোহী বিধায়ক’ গোষ্ঠীর নেতা রাজ্যের স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা নিজেই মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন।
তিনি বলেন, “তরুণ গগৈয়ের মন্ত্রিসভায় ১৩ বছর ধরে রয়েছি। কিন্তু, শাসক দলের ৭৯ জন বিধায়কের মধ্যে অনেক নতুন মুখই মন্ত্রিত্ব পেতে চান। তাঁরা যথেষ্ট যোগ্যও। তাই, বেশিদিন পদ আঁকড়ে থাকতে চাই না। অন্যদেরও সুযোগ দিতে হবে।”
দলীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি দলের ‘বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের একাংশ মন্ত্রী হওয়ার আর্জি নিয়ে দিল্লিতেও দরবার করেছেন। কিন্তু, অসম মন্ত্রিসভার অনেক প্রবীণ সদস্য পদ ছাড়তে রাজি নন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, বর্ষীয়ান গগৈ-সহ মন্ত্রিসভার সেই সব মন্ত্রীর উপরে চাপ তৈরি করতেই হিমন্ত এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। হিমন্ত অবশ্য এ সব কথা মানতে রাজি নন। তিনি বলেন, “রাজ্যে কংগ্রেসকে মজবুত করতে একজন বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাব।”
গগৈ আগেই জানিয়েছিলেন, লোকসভায় গতবারের চেয়ে খারাপ ফলাফল হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। গত লোকসভায় কংগ্রেস অসমে ৭টি আসন পেয়েছিল। হিমন্তর আশা, এ বারের ভোটে দলের আসন সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে কি তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হচ্ছেন? হিমন্ত জানান, প্রদেশ সভাপতি হওয়ার জন্য যে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা প্রয়োজন, তা এখনও তাঁর হয়নি।
রাজ্যে আম আদমি পার্টির উত্থান এবং কয়েকজন চিকিৎসকের ‘আপ’-এ যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপ ঢেউ তুলেছে ঠিকই, তবে রাজ্যে কংগ্রেসের শিকড় অনেক গভীর। সেখানে পৌঁছতে ‘আপ’-এর সময় লাগবে।” তাঁর বক্তব্য, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকেরা কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারবেন না। যে সব চিকিৎসক ‘আপ’-এ যোগ দিয়ে সমাজে বদল আনতে চাইছেন, তাঁরা বরং শহরের আরাম ছেড়ে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে মানুষের চিকিৎসা করে জনসেবা করুন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গতকাল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে ‘সুপার স্পেশ্যালিটি’ স্তরে উন্নীত করার জন্য ৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন। |
|
|
|
|
|