|
|
|
|
ভিজিল্যান্সের বিশেষ দলেই ভরসা নীতীশের |
স্বপন সরকার • পটনা
১৪ জানুয়ারি
|
দুর্নীতি রুখতে অনেক পদক্ষেপ করেছেন নীতীশ কুমার। শাস্তি হয়েছে প্রাক্তন ডিজিপি থেকে আইএসএস অফিসারসবারই। ভিজিল্যান্সের বিশেষ দলও গঠন করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, পদস্থ কর্তাদের অবসরে সেটি কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল।
এ বার ভিজিল্যান্সের বিশেষ দলটিকে ফের সক্রিয় করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করতে বুধবার একটি বৈঠক করবেন নীতীশ। জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং-এ সরকার কী চায় তার বার্তাও দেবেন। বিশেষ ওই দলটির বিষয়ে ভিজিল্যান্সের ডিজি পি কে ঠাকুর বলেন, “শূন্য পদগুলি পূরণ করা হয়েছে। দলের অভিজ্ঞ সদস্যরা ফের কাজ শুরু করবেন।”
নীতীশ কুমার ক্ষমতায় আসার পর, ২০০৬ সালে ভিজিল্যান্সের ওই বিশেষ দল গঠন করেছিলেন। আয়ের চেয়ে বেশি সম্পত্তির বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব ছিল দলটির। চার বছরে পাঁচজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হয়। চার্জশিটও পেশ হয়। দুর্নীতির দায়ে সাজা পেয়েছিলেন প্রাক্তন ডিজি নারায়ণ মিশ্র, প্রাক্তন আইএএস অফিসার এস এস বর্মা, মোটরযান বিভাগের কর্তা রঘুবংশ কুমার, ড্রাগ ইন্সপেক্টর ওয়াই কে জয়সওয়াল এবং ট্রেজারি কর্মচারী গিরিরাজ কুমার।
ভিজিল্যান্সের বিশেষ দলে তিনজন প্রাক্তন সিবিআই এসপি পদের অফিসার নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, যোগ্য কোনও অফিসার পায়নি রাজ্য সরকার। সিবিআই-এর প্রাক্তন এসপি পর্যায়ের অফিসার কেন প্রয়োজন, তা জানিয়ে আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আইজি প্রবীন বশিষ্ঠ বলেন, “তদন্ত করার জন্য সিবিআই অফিসারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাঁদের সেই অভিজ্ঞতা দুর্নীতি মোকাবিলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ।”
সরকারি সূত্রের খবর, আইজি বশিষ্ঠের নেতৃত্বে বিশেষ দলটি ফের সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে। তাতে সিবিআইয়ের প্রাক্তন এসপি পর্যায়ের অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে। বিহার সরকারের ৪ জন ডিএসপি দলের সঙ্গে থাকবেন। ১২ জন ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মীর মধ্যে ৪ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। জনতা দরবারে গতকালই নীতীশ কুমার জানিয়েছিলেন, প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত আরও জোরদার করা হবে। সেই পথেই এগোলেন মুখ্যমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|