পৌষ সংক্রান্তিতে অজয় ও দামোদর নদে মকর স্নানের ঢল নামল খনি-শিল্পাঞ্চলে।
রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি গ্রামের সীমানায় দামোদরের পাড়ে মথুরাচণ্ডি মন্দির কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনের লোকসংস্কৃতি মেলা এ বার ৫০ বছর অতিক্রম করল। সেখানে প্রতি দিনই থাকছে বাউল গানের আসর। প্রথম দু’দিন সঙ্গে কবিগান এবং শেষ দিন পালাকীর্তন হবে। নদের ওপারে বাঁকুড়া জেলার মানুষও এই মেলায় যোগ দেন। উৎসব কমিটির সদস্য নাড়ু মণ্ডল জানান, এই মন্দিরে মকরস্নান উপলক্ষে পুর্ণ্যাথীদের যাতায়াত তিনশো বছরেরও বেশি সময়ের। এলাকার মানুষের চাহিদা থেকেই জয়দেবের অনুকরণে তিন দিনের লোকসংস্কৃতি মেলা শুরু হয় ৫০ বছর আগে। এই মেলা বর্তমানে দু’জেলার মিলনমেলায় পরিণত হয়। প্রথম দিন নদে স্নানপর্ব মিটতেই পঙ্ক্তি ভোজ হয়।
দামোদরের পাড়ে অন্ডালের শ্রীরামপুর ও কুঠিডাঙায় তিন দিনের মেলা বসেছে। এলাকার বাসিন্দা তথা অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য কাঞ্চন মিত্র জানান, শ্রীরামপুরে দু’শো বছর আগে এক সাধু কানাইলাল মকর উপলক্ষে তিন দিন হরিনাম সংকীর্তনের আসর চালু করে গিয়েছেন বলে পূর্বপুরুষদের থেকে তাঁরা জেনেছেন। এর পরে আরও দু’টি পৃথক অনুষ্ঠান হয়। বাউল ও কবিগানের আসর বসে।
পাণ্ডবেশ্বরে অজয়ের ঘাটে শিব মন্দিরে মেলা বসে। দু’দিনের এই মেলায় পঙ্ক্তিভোজ এবং কীর্তন ও বাউলের সুরে মাতোয়ারা হয়। কথিত রয়েছে, অঞ্জাতবাসের সময়ে পাঁচ ভাই ও মা কুন্তি পাণ্ডবেশ্বরে অজয়ের পাড়ে কিছু দিন আশ্রয় নেন। পাণ্ডবেরা শিবের ভক্ত হওয়ায় যেখানে যেতেন শিবলিঙ্গ স্থাপন করে পুজো করতেন। এই মন্দিরে মানুষের ঢল নামে। এ ছাড়াও সিঙ্গারন নদী-সহ ছোট-বড় জলাশয়ে মকরস্নানে মেতে ওঠেন মানুষ। |