মাসখানেক আগে মাটিগাড়ায় অভিযান চালিয়ে বেআইনি কাজকর্মের অভিযোগে একটি রেশন দোকান সিল করে দেয় শিলিগুড়ি মহকুমা প্রশাসন। ওই রেশন ডিলারের নাম ধীরেন সিংহ। তিনি মহকুমা রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ছিলেন। ওই সংগঠন রেশন ডিলার মহলে বাম মনোভাবাপন্ন বলে পরিচিত। ঘটনাচক্রে সোমবার ধীরেনবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ওই সংগঠনের কয়েকশো সদস্যও সামিল হন বলে তৃণমূলের দাবি। তবে বামমনোভাবাপন্ন সংগঠনের একাংশের অভিযোগ, নানা ভাবে চাপ বাড়িয়ে সংগঠন বাড়াতে মরিয়া তৃণমূল। তবে ধীরেনবাবুর দাবি, “চাপের প্রশ্ন নেই। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত হতে চাই বলেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।”
এর প্রতিক্রিয়ায় প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, “এ সব রেশন ডিলারদের অনেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে। তাদের মামলার চাপ দিয়ে ও দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দলে টানা হচ্ছে।”
তৃণমূলের তরফে জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র কুণ্ডু বলেন, “অভিযোগ ছিল, শাস্তিও পেয়েছেন। তার মানে এই নয় ধীরেনবাবু চিরদিন অপরাধী হয়ে থাকবেন। সবাইকে বলা হয়েছে কোনও রকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা চলবে না।”
সারা রাজ্যে ২২ হাজার ডিলার ও ৫০২টি রেশন ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছেন। ডিস্ট্রিবিউটররা কুইন্টাল প্রতি ১৫ টাকা এবং ডিলাররা প্রতি কুইন্টাল ৪৫ টাকা কমিশন পান। এই কমিশন বাড়িয়ে ৬০ ও ১২০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে বলে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক আব্দুল মালিক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এত দ্রুত নিচু স্তরের দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন দুর্নীতি বন্ধ করার।” তিনি এও বলেন, “এফসিআইয়ের সরবরাহ করা মালের মান অত্যন্ত নিম্ন। সরকার ভাল মাল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” |