নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, কর্মীদের দলে টানার জন্য তৃণমূলের সমালোচনা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। সোমবার জলপাইগুড়িতে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী এবং জেলা কমিটির সভার শেষে তিনি বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও জেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বামফ্রন্ট বোর্ড গঠন করতে পারেনি। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল ভয় দেখিয়ে, ঘুষ দিয়ে দল ভাঙাচ্ছে।
গত রবিবার সন্ধ্যা থেকে দলের জেলা দফতরে সম্পাদকমণ্ডলীর ১৪ জন সদস্যকে নিয়ে বৈঠক শুরু হয়েছে। রবিবার রাত পর্যন্ত বৈঠক চলেছে, বিমানবাবুও সর্বক্ষণই বৈঠকে ছিলেন। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর ৬১ সদস্যকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সিপিএমের জেলা নেতাদের অভিযোগ, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও ময়নাগুড়ি ব্লকের ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তাদের বোর্ড গঠন করতে দেওয়া হয়নি। বোডর্র্ গঠনের পরেও জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূল ভাঙিয়েছে বলে অভিযোগ।
জেলা সম্পাদকমণ্ডলী এবং জেলা কমিটির সভায় নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়েও বেশ খানিকক্ষণ আলোচনা হয়েছে। এখনই জেলা জুড়ে আন্দোলন করে সংগঠনকে চাঙ্গা না করলে দল বদলের প্রবণতা বাড়বে বলেও অনেক নেতা এ দিন রাজ্য সম্পাদক বিমানবাবুকে জানান। বিমানবাবু বলেন, “দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী, জেলা কমিটির সদস্যদের রিপোর্ট পেয়েছি। কমিটি পর্যায়ে কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” তিনি জানান, যেখানে ঘুষে কাজ হচ্ছে না, সেখানে ভয় দেখিয়ে নির্বাচিত পঞ্চায়েতকে ভাঙানো হচ্ছে। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, “বিমানবাবুরা নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনাকে আড়াল করতে এ অভিযোগ করছেন। কাউকে যদি ঘুষ দেওয়া হয় অথবা ভয় দেখানো হয়ে থাকে তবে ওঁরা আদালতে যাচ্ছেন না কেন?” |