লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে পুরো মাত্রায় তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত সোমবার জানান, বাংলায় ভোটের প্রস্তুতি হিসেবেই এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে উপ-নির্বাচন কমিশনার বিনোদ জুৎসি ২২ জানুয়ারি কলকাতায় আসছেন।
সুনীলবাবু জানান, আপাতত ঠিক আছে, ২২ তারিখে প্রথম পর্বে নির্বাচন কমিশন স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জুৎসি। দ্বিতীয় পর্বে তিনি বসবেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক করার কথা।
উপ-নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকের আগে প্রত্যেক জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে নিজের নিজের এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। মুখ্য নির্বাচনী অফিসার জানান, এক সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে হবে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের। ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র পরীক্ষার কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ওই যন্ত্র পরীক্ষার কাজ চলছে। এ দিনও সেই কাজ হয়েছে। চুড়ান্ত ভোটার তালিকা সম্পর্কে দলগুলিকে অবহিত করানো হয়েছে বলেও জানান সুনীলবাবু।
কংগ্রেসের দেবব্রত বসু এবং বামফ্রন্টের পক্ষে রবীন দেব এ দিন অভিযোগ করেন, হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন-সহ সম্প্রতি রাজ্যে যে-সব ভোট হয়েছে, কোথাও তা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়নি। মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের সঙ্গে বৈঠকেও তাঁরা এ কথা জানিয়েছেন। সুনীলবাবুর কাছে তাঁরা দাবি জানান, লোকসভা নির্বাচনে মানুষ যাতে অবাধে ভোট দিতে পারেন, কমিশনকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। রবীনবাবুর অভিযোগ, “রাজ্যের বেশ কয়েকটি ব্লকে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওই সব এলাকার বহু ভোটার তালিকায় নিজেদের নামই তুলতে পারেননি। আবার ওই সব এলাকায় অনেক বৈধ ভোটারের নাম কেটে বাদও দেওয়া হয়েছে।” মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের কাছে এর বিহিত করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। |