এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম রিঙ্কু দেবনাথ (১৪)। তার বাড়ি নবদ্বীপের ব্যাদড়াপাড়ায়। সে স্থানীয় চারিচারা বাজার ব্যানার্জি পাড়ার বাসিন্দা রাধামোহন ঘোষের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত। সোমবার সকালে ওই বাড়ি থেকে তার দেহ মেলার পর ঘোষ পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের মা কবিতা দেবনাথ। তাঁর অভিযোগ, “মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে মেরে ফেলেছে রাধামোহন ঘোষের পরিবারের লোকজন।”
ঘটনার আকস্মিকতায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অবসরপ্রাপ্ত হাই স্কুল শিক্ষক রাধামোহনবাবু। তিনি কালনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘোষ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, “রিঙ্কু এখানে মেয়ের মতোই থাকত। এই বাড়িতে থাকতে ও এতই ভালবাসত যে নিজের বাড়িও যেতে চাইত না। এরমধ্যে শনিবার বাড়ি গিয়ে আবার রবিবারেই সে ফিরে এসেছিল। রবিবার রাত পর্যন্ত তো ও খুব হাসিখুশি ছিল। তারপরে কী করে এমন হল আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।” রাধামোহনবাবুর বড় বউমা পেশায় স্কুলশিক্ষিকা পারমিতাদেবী বলেন, “সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতো ওকে ডাকতে গিয়ে দেখি ওর দেহ সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে।”
রিঙ্কুর মা কবিতাদেবী বলেন, “শনিবার আমার মেয়ে বাড়ি এসেছিল। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ রাধামোহন ঘোষ এবং তার স্ত্রী মীরা ঘোষ মেয়েকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর সোমবার সকালে ঘোষবাড়ি থেকে আমাদের ফোন করা হয়। সেখানে গিয়ে দেখি মেয়ের দেহ ঝুলছে।” তাঁর অভিযোগ, “রাধামোহন, তাঁর স্ত্রী সহ ওই বাড়ির লোকজন ষড়যন্ত্র করে আমার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।”
নবদ্বীপ থানার আইসি তপন কুমার মিশ্র বলেন, “সকালে প্রথমে মেয়েটির বাবা এসে পুলিশের কাছে বলেছিলেন তাঁদের কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তারপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ মেয়েটির মা এসে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” |