বহু অভিযোগ, কর্মীদের ফের হুঁশিয়ারি সুব্রতর
ভিযোগ পৌঁছচ্ছে দলের রাজ্য দফতরে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে কর্মীদের ফের সতর্ক করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সী। তাঁর হুঁশিয়ারি, “বহু অভিযোগ রাজ্য দফতরে যাচ্ছে। ভাবছেন ওগুলো পড়েই থাকবে। ভুল ভাবছেন। অভিযোগগুলো লিপিবদ্ধ হচ্ছে। যুক্তি থাকলে একদিন মীমাংসা হবে। তখন মহাপ্রস্থানের পথে যেতে হবে!”
আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। তার প্রস্তুতি হিসেবে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি ব্লকে কর্মিসভা করেন সুব্রতবাবু। গোড়ায় সবংয়ে। পরে পিংলা এবং ডেবরায়। কাল, বুধবার কেশপুর এবং মেদিনীপুর শহরে কর্মিসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। সবং বরাবর কংগ্রেসের ‘গড়’ হিসেবে পরিচিত। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও জিতেছেন কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে শুধু পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে পারেনি তৃণমূল। সেটি পেয়েছে কংগ্রেস। তবে এ দিন সবংয়ের কর্মিসভায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ততটা সুর চড়াননি সুব্রতবাবু। ব্যক্তিগত আক্রমণের পথেও যাননি। তবে, সমালোচনা করেছেন। তৃণমূল রাজ্য সভাপতি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝেছিলেন, কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে না। তাই তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন।” আগামী লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রে সরকার গড়ার চাবিকাঠি তৃণমূলনেত্রীর হাতেই থাকবে, তা-ও দাবি করেন তিনি। সিঙ্গুর প্রসঙ্গ টেনে সুব্রতবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে থাকলে সিঙ্গুরের চাষিরা একদিন জমি ফেরত পাবেনই। আইনে আমাদের আস্থা আছে। আইন যদি অধিকারকে অস্বীকার করে তাহলে জমি কী ভাবে ফেরত দিতে হয় তা তৃণমূল জানে!”
সবে পাঁচ মাস হল নতুন পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে। এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে নানা অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। শুধু জেলাস্তরে নয়, অভিযোগ যাচ্ছে রাজ্যস্তরেও। পশ্চিম মেদিনীপুরের সর্বত্র যে হারে সমর্থন বেড়েছে, তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জেলা তৃণমূলের একাংশ। এঁরা মনে করছেন, এলাকা বিরোধী শূন্য থাকার সুযোগে একাংশ নির্বাচিত সদস্য দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন। পরে যা দলের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে। এ দিন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি তাই বুঝিয়ে দেন, পদ আঁকড়ে বসে থাকার দিন শেষ। তাঁর কথায়, “কাজ করতে না পারলে পদ ছেড়ে দিন।”
এ দিনের কর্মিসভাগুলিতে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ প্রমুখ। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেনবাবু বলেন, “আগামী ৩০ জানুয়ারি দলের বিগ্রেড সমাবেশ রয়েছে। সে দিন পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যাবেন। তার আগে প্রস্তুতি হিসেবে কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.