উৎসবের মাঝে তৈরি যুদ্ধ জয়ের স্ট্র্যাটেজি
জাহিরের মুম্বইকে পেলে ভাল হত, বলছেন অশোক
বিজয় জোলের মহারাষ্ট্র নয়। জাহির খানের মুম্বই।
শেষ চারের যুদ্ধে চল্লিশ বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়নকেই চাইছিলেন বাংলা কোচ অশোক মলহোত্র!
আগামী শনিবার থেকে ইন্দৌরে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নামছে বাংলা। মুম্বইয়ের বদলে মহারাষ্ট্র পেয়ে কী সুবিধে হল? লোকে তো তাই বলছে। “কারা বলছে? যারা বলছে তারা ক্রিকেটের কিছুই বোঝে না। মহারাষ্ট্র খুব ভাল টিম। বরং আমার মুম্বইকে পেলে সুবিধে হত,” বলে দিলেন বাংলা কোচ।
কেন মুম্বইকে চাইছিলেন?
“আরে, মুম্বইয়ের টিমে কী ছিল? ব্যাটিংয়ে ওয়াসিম জাফর আর বোলিংয়ে জাহির খান। অভিষেক নায়ার ফর্মে নেই। ধবল কুলকার্নি নেই। সেখানে মহারাষ্ট্র টিমটাকে দেখুন। ব্যাটিংয়ে জোল-যাদব আছে। যে টিম মুম্বইকে ওয়াংখেড়েতে ১২৯ রানে শেষ করে দেয়, তাদের বোলিং শক্তিটাই বোঝা যায় নিশ্চয়ই,” পরিষ্কার করে দিচ্ছেন কোচ অশোক। যিনি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম বছরেই বাংলা স্বপ্নের ক্রিকেট খেলে রঞ্জি সেমিফাইনালে। ক্রিকেট-সংসারে যাঁর ম্যান ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সপ্রশংস আলোচনা চলছে ময়দানে। যাঁর আমলে বহু দিন পর রঞ্জিতে বাংলা জিতেছে পরপর তিনটে ম্যাচ, বিদায়ের প্রভূত সম্ভাবনা নিয়ে ঘটিয়েছে অবিশ্বাস্য কামব্যাক।
উত্তরপ্রদেশ ম্যাচটা হেরে গেলেই তো সব শেষ হয়ে যেত?
“এখন বললে লোকে বলবে যে, সেমিফাইনালে উঠেছি বলে বড় বড় কথা বলছি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ ম্যাচটা জেতার পরই মনে হচ্ছিল, সবই এ বার আমাদের দিকে যাবে। তামিলনাড়ু ম্যাচের আগে দেখছিলাম, ছেলেরা প্রচণ্ড তেতে আছে। বেশ কিছু সিনিয়র ওদের পুরনো কোচ রামনের উপর ক্ষেপে ছিল। সৌরাশিসকে যেমন বাদ দিয়ে দিয়েছিল রামন,” বলছিলেন অশোক। একটু থেমে আবার সংযোজন, “তামিলনাড়ুটাও জিতব জানতাম। আর কোয়ার্টার ফাইনালে রেল ম্যাচ নিয়ে বলেছিলাম যে, ভদ্র ভাবে ম্যাচটা খেলব। কিন্তু নিজেরাও জানতাম যে সম্ভব নয়। এটা প্রতিশোধের ম্যাচ। তার উপর মুরলী কার্তিক বল বিকৃতি করে যা ঘটাল, কী বলব। মুরলী দেখিয়ে দিল, ও কী ভাবে ক্রিকেটটা খেলে।”
মুরলী কার্তিক অতীত। আপনি বর্তমান। আপনি কোচিংটা কী ভাবে করেন? সাফল্যের রসায়নটা কী?
“দেখুন, আমি বিশ্বাস করি না যে বয়স কারও ক্রিকেট কেরিয়ার ঠিক করে বলে। রামন যা করত, ওর ব্যাপার। ওর স্টাইল। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে, সিনিয়র-জুনিয়র নয়। পারফরম্যান্সটা আসল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই চেয়েছিলাম, একটা খোলামেলা ড্রেসিংরুম তৈরি করতে। যেখানে আমি স্যর হব না। ক্রিকেটাররা আমার বন্ধু হবে। আমার কোচিংটা পুরোটাই ম্যান ম্যানেজমেন্ট নির্ভর। আর আমি কারও ক্রিকেট খেলার ধরন কোনও দিন পাল্টাতেও যাব না। কারণ, কপিবুক ক্রিকেট বলে কোনও দিন কিছু হয় না। লক্ষ্মীরতন শুক্ল-র ব্যাটিং স্টাইলের সঙ্গে কোনও দিন ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাটিং মিলবে না। আবার দিন্দার বোলিং পুরোটাই আলাদা হবে শিবশঙ্কর পালের চেয়ে,” বলে দিচ্ছেন বাংলা কোচ। সঙ্গে সংযোজন, “আমার রান আর উইকেট দরকার। কে কী ভাবে করল কিছু যায় আসে না। আরও একটা ব্যাপার করেছিলাম। মরসুমের শুরুতে দুই সিনিয়র সৌরাশিস আর শিবশঙ্করকে বলে দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার টিমে বাদ নও। বরং ভাল ভাবে আছো। অতীতে কী হয়েছে ভুলে চেষ্টা করো, বাংলাকে কী ভাবে জেতাবে। শিবের ফিটনেস নিয়ে এত কথা হয়েছে। ওকে প্রথম দিনই বলেছিলাম, তোমাকে ফিটনেস ট্রেনিং করতে হবে না। শুধু ফিল্ডিং প্র্যাক্টিস করবে। আমার সঙ্গে করবে। আমার নিজেরও ওই এক সমস্যা ছিল। আমি পারলে তুমিও পারবে!”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.