ঘরের মধ্যে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে এক যুবকের দেহ, খাটে পড়ে তাঁর মেয়ের দেহ। রবিবার রাতে চুঁচুড়ার মিঁয়ারবেড় এলাকার ঢাকি-ময়রা গলির বাসিন্দা ওই দু’জনের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতদের নাম সুখরঞ্জন দে (৪০) এবং শ্রুতি দে (১২)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুখরঞ্জন স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানে কাজ করতেন। মেয়ে শ্রুতি চুচুঁড়া বালিকা শিক্ষামন্দির স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। |
সুখরঞ্জনের স্ত্রী লক্ষ্মী পরিচারিকার কাজ করেন। অভাবের সংসারে সুখরঞ্জন ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। রবিবার বিকেলে কাজে বেরিয়েছিলেন লক্ষ্মী। রাত ন’টা নাগাদ ফিরে ঘরের মধ্যে তিনি স্বামী ও মেয়ের দেহ দেখতে পান। তাঁর চিৎকারে চলে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। প্রতিবেশীরা সুখরঞ্জন ও তাঁর মেয়েকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
সাংসারিক অশান্তির জেরেই মেয়েকে খুন করে তাঁর স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছেন লক্ষ্মীও। তিনি বলেন, “অশান্তি হত আমার সঙ্গে। তার জন্য ও মেয়েকে খুন করল কেন বুঝতে পারছি না। রবিবার ফিরে দেখি ঘরের দরজা খোলা। জোরে টিভি চলছে। ভিতরে ওই অবস্থা। মেয়ের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছিল।” |