শাসক দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি এ বার শ্রীরামপুর গার্লস কলেজের ভোটে মনোনয়নই জমা দিল না। ফলে, ওই কলেজের ছাত্রী সংসদের ১৮টি আসনের মধ্যে বেশিরভাগই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে এ বারেও ক্ষমতা দখলে রাখতে চলেছে এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও।
আগামী ২৮ জানুয়ারি ওই কলেজের ছাত্রী সংসদের ভোট হওয়ার কথা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল সোমবার। টিএমসিপি-র অভিযোগ, ডিএসও-র সন্ত্রাস এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কারণেই তারা মনোনয়ন জমা দিতে পারল না।
ডিএসও অভিযোগ মানেনি। তারা সবক’টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিলেও স্ক্রুটিনিতে তিনটি বাতিল হয়েছে বলে কলেজ সূত্রের খবর। ওই কলেজে নির্বাচন হচ্ছে গত ১২ বছর ধরে। প্রথম থেকেই ক্ষমতায় রয়েছে ডিএসও।
টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি শুভজিৎ সাউ বলেন, “আমাদের মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেন ডিএসও কর্মীরা। এক নেত্রীকে মারধর করা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন করে মনোনয়নপত্র দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তা শুনলেন না।” শুভজিতের সংযোজন, “ওই সংগঠনের হামলা এবং কলেজ প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানাচ্ছি।”
কলেজের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অনুরাধা ঘোষ অবশ্য জানিয়ে দেন, কলেজের ভিতরে মনোনয়নপত্র ছেঁড়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। আর নিয়ম না থাকায় নতুন করে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়নি।
ডিএসও-র জেলা কমিটির সদস্য মৌমিতা দাস বলেন, “শাসক দল কলেজে মেয়েদের সমর্থন পায়নি। তাই মুখরক্ষা করতে নানা ওজর খুঁজছে।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “ওরাই বরং বহিরাগতদের এনে কলেজের সামনে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেছিল। আমাদের প্রার্থীদের হুমকি দেয়। কারও কারও পরিচয়পত্র ছিঁড়ে ফেলে। তার পরেও পরাজয় মানতে না পেরে হাস্যকর অভিযোগ তুলছে।” অন্য দিকে, নবগঠিত সিঙ্গুর কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিনা লড়াইতে জিততে চলেছে টিএমসিপি। কলেজ সূত্রের খবর, ৪টি আসনের জন্য মনোনয়নপত্র তোলার দিন ছিল সোমবার। টিএমসিপি ছাড়া অন্য কোনও ছাত্র সংগঠন মনোনয়নপত্র তুলতে পারেনি। চুঁচুড়ার এইচআইটি কলেজেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে চলেছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন। এ দিন সেখানেও মনোনয়ন তোলার দিন ছিল। একমাত্র টিএমসিপি মনোনয়নপত্র তুলেছে বলে কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। |
