|
|
|
|
সেনাপ্রধান বললেন সতর্ক হব, বার্তা ক্ষুব্ধ জয়রামকে
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
১৩ ডিসেম্বর |
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের ক্ষোভকে গুরুত্ব দিয়ে সেনাপ্রধান বিক্রম সিংহ ঘোষণা করলেন, সেনাবাহিনীর গতিবিধির কারণে যাতে সাধারণ পথচারীর যাতায়াতে বিঘ্ন না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন তিনি।
গত বুধবার একটি বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে জয়রামের গাড়ি আটকে দেয় সেনাপ্রধানের কনভয়ের মিলিটারি পুলিশ। সে দিন প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানান জয়রাম। দিল্লির পথে যান নিয়ন্ত্রণ করার কথা ট্রাফিক পুলিশের। এ কথা বলে তিনি ঘোষণা করেন, সেনাবাহিনীর বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিকে চিঠি লিখবেন। সেনাপ্রধান এ নিয়ে বিতর্ক বাড়াতে চাননি। তাই সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, এ বার থেকে সতর্ক থাকবেন। সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য জয়রামের প্রতি বার্তা।
তবে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) প্রত্যাহার বা শিথিল করার প্রশ্নে এ দিন অনড় থাকার কথা ঘোষণা করেছেন সেনাপ্রধান। আম আদমি পার্টির নেতা প্রশান্ত ভূষণ সম্প্রতি দাবি করেছেন, কাশ্মীর উপত্যকায় সেনা-উপস্থিতি, আফস্পা প্রত্যাহার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে সেখানকার মানুষের রায় নেওয়া উচিত। সেই প্রসঙ্গ তোলা হলে সেনাপ্রধান এ দিন বলেন, “রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত।” ওই মন্তব্যের জেরে আজও ফের বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রশান্ত ভূষণ।
আফস্পা প্রসঙ্গে জেনারেল সিংহের দাবি, “দেশের যেখানে যে ভাবে কাজ করা উচিত, সেই আইন মেনেই সেনা কাজ করছে।” তিনি জানান, আফস্পা প্রত্যাহার বা শিথিল করা কথা এই মুহূর্তে ভাবা হচ্ছে না। জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিচার করে, বিশেষ করে জঙ্গি হানার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেনাপ্রধান বলেন, “আফস্পা প্রত্যাহারের আগে দেখতে হবে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতিতে এ বছর কতটা বদল আসে।” পাক সেনা গত শনিবার নিয়ন্ত্রণরেখা অঞ্চলে ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করায় ভারতও জবাব দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “প্রতিবেশী যুদ্ধের নিয়ম ভাঙলে আমরা চুপ করে তা দেখব না।” |
|
|
|
|
|