|
|
|
|
মহিলা গ্রন্থাগারিককে অশ্লীল বার্তা, অভিযুক্ত কলেজ অধ্যক্ষ উত্তম সাহা • শিলচর
১৩ জানুয়ারি |
একটি ই-মেল বার্তাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে শিলচর মহিলা মহাবিদ্যালয়ে। শিক্ষকদের অভিযোগ, মহিলা গ্রন্থাগারিককে আপত্তিকর মেল পাঠিয়েছেন কলেজেরই অধ্যক্ষ। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ থেকে তাঁরা অসহযোগ আন্দোলনে নেমেছেন। অধ্যক্ষের বক্তব্য, তাঁর পাসওয়ার্ড হ্যাক করে কেউ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ পরিচালন সমিতি আগামী বুধবার একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
মহিলা গ্রন্থাগারিকের অভিযোগ, অধ্যক্ষ মনোজ পালের মেল-অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৩-র ৫ সেপ্টেম্বর একটি মেল যায় কলেজের গ্রন্থাগারিকের কাছে। এতে ওজন কমানোর পরামর্শের জন্য একটি ওয়েবসাইটে ক্লিক করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। গ্রন্থাগারিক সেখানে ক্লিক করতেই অশ্লীল ছবি দেখতে পান। গত ২ জানুয়ারি কলেজের প্রধান করণিক সত্যব্রত দত্তর মাধ্যমে তিনি মেলটির ‘প্রিন্ট আউট’ অধ্যক্ষের কাছে পাঠান। মনোজবাবু ৪ জানুয়ারি সরিতাদেবীর ল্যাপটপে মেলটি দেখে সেটি মুছে দেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। জানতে চান, তাঁর ল্যাপটপের মেল তিনি কেন মুছে দেবেন? পাশে এসে দাঁড়ান কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা অধ্যক্ষকে চ্যালেঞ্জ করেন।
এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই কলেজে জলঘোলা হচ্ছে। ১০ জানুয়ারি আসাম কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিটিএ)-এর কলেজ ইউনিট জরুরি বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেন, এই অধ্যক্ষের নেতৃত্বে তাঁরা কাজ করবেন না। নিয়মিত পড়ালেও অধ্যক্ষের সঙ্গে অসহযোগিতা চলবে। ক্লাসের বাইরে কোনও কাজে তাঁরা তাঁকে সাহায্য করবেন না।
অধ্যক্ষ মনোজকুমার পালের বক্তব্য, “এটি আমার বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র। নইলে ৫ সেপ্টেম্বরের মেল নিয়ে ২ জানুয়ারি থেকে হইচই কেন?” এ ছাড়াও তাঁর বক্তব্য, তাঁর মেল ‘হ্যাক’ করা হয়েছে। তিনি ৪ জানুয়ারি শিলিগুড়ি সদর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, এরপরেও পুলিশি তদন্তের জন্য অপেক্ষা না করে কেন আন্দোলন শুরু হয়ে গেল? তাঁর কথায়, “যে ই-মেলে এই বার্তাটি গিয়েছে, সেটি গ্রন্থাগারিকের ব্যক্তিগত নয়। কলেজ গ্রন্থাগারের মেল-ঠিকানা। সেই কারণেই আমি সেটি মুছে দিয়েছি। এর মধ্যে দোষ ঢাকার প্রয়াস থাকলে থানায় যেতাম না।” তাঁর বক্তব্য, মেলটি মুছে দেওয়া হলেও প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশ তা দ্রুত উদ্ধার
করতে পারবে এবং হ্যাকারের সন্ধানও বের করবে।
এসিটিএ ইউনিট সম্পাদক রঞ্জিত তিওয়ারি বা গ্রন্থাগারিক এখনই এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি নন। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি সৌরীন্দ্রকুমার ভট্টাচার্য অবশ্য স্বীকার করেছেন, শিক্ষকরা লিখিত ভাবে ১০ জানুয়ারির সিদ্ধান্ত তাঁকে জানিয়েছেন। তিনি বুধবার কলেজ পরিচালন সমিতির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
এরাই সত্যমিথ্যা খুঁজে দেখবে।
সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|