লগ্নি সহায়ক পরিবেশ না থাকা এবং অতিরিক্ত ভর্তুকি এই দুই কারণেই এ দেশে নয়া ব্যবসা চালু করতে উৎসাহ পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন বিপি ইন্ডিয়ার প্রধান শশী মুকুন্দন।
অবশ্য মুকুন্দনের দাবি, ভারতে প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে লগ্নি সম্ভাবনা প্রচুর। বিশেষত আমেরিকা এবং চিনের মতো দেশগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে। ২০৩০-এর মধ্যে ভারতে বিদ্যুতের চাহিদাও তিন গুণ বাড়বে বলে মত মুকুন্দনের। কিন্তু তাঁর মন্তব্য, এই সব ক্ষেত্রে উন্নতিতে প্রধান বাধা লগ্নির পরিবেশ এবং পরিকাঠামোর অভাব। পাশাপাশি, গ্যাস ও তেল ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভর্তুকির ফলেও সংস্থাগুলি লগ্নি উৎসাহ হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুধুমাত্র মুকুন্দনই নন, ভতুর্কির এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন কেন্দ্রের একাংশও। বিদেশের বাজারের গ্যাস ও তেলের দামের সামঞ্জস্য না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলি নয়া কোনও আবিষ্কারে উৎসাহ দেখাচ্ছে না বলে মনে করেন যোজনা কমিশনের সদস্য বি কে চতুর্বেদী। তেল সচিব বিবেক রাই বলেন, এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই দেশে নতুন করে গ্যাস ও তেল উৎপাদন হচ্ছে না। দেশের উৎপাদন বাড়াতে পণ্যগুলির দাম বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসি-র চেয়ারম্যান সুধীর বাসুদেবও। আর কয়েক দিন পরই দেশে বিভিন্ন তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র নিলাম হওয়ার কথা। যেখানে বিদেশি লগ্নি আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় তেল মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তার আগেই এই মন্তব্য কিছুটা অস্বস্তি বাড়াতে পারে কেন্দ্রের।
বিপি-র ক্ষেত্রেও কেজি বেসিনের প্রকল্পে ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ার কারণে কাজ শুরু করতেও অনেক সময় লেগেছে। মুকুন্দনের দাবি, আগামী দিনে যদি ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে হয়, সে ক্ষেত্রে পরিকাঠামো, প্রকল্পে ছাড় দেওয়া, পাইপলাইন তৈরি ইত্যাদি বিষয়গুলির উপর জোর দিতে হবে। ভারতের সামনে সে সুযোগও রয়েছে, শুধু তার সদ্ব্যবহার করা প্রয়োজন। |