পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার জেরে সোমবার বেশ কিছুটা চাঙ্গা হল সূচক। এ দিন সেনসেক্স এক ধাক্কায় বেড়েছে ৩৭৫.৭২ পয়েন্ট, যা নতুন বছরে এ পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ। বাজার বন্ধের সময়ে তা ছিল ২১,১৩৪.২১ অঙ্কে।
ডলারে টাকার দামও এ দিন বেড়েছে ৩৮ পয়সা। দিনের শেষে এক ডলার ছিল ৬১.৫২ টাকা। গত এক মাসে এটাই টাকার সর্বোচ্চ দাম। গত ডিসেম্বরে আমেরিকায় কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সূচক পড়ার ফলে সে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে বাজারে। এর জেরেই ডলার পড়েছে বলে খবর।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এ দিন শেয়ার কিনতে উৎসাহী ছিলেন লগ্নিকারীরা। বিশেষ করে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। এর প্রভাবই সূচককে টেনে তুলেছে।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, বাজার বেড়েছে প্রধানত গুটিকয়েক সংস্থার শেয়ার লেনদেনের কারণে। যার মধ্যে ইনফোসিস-সহ কিছু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ছাড়াও রয়েছে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের মতো সংস্থা। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি ও স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, “ইনফোসিসের আর্থিক ফল লগ্নিকারীদের উৎসাহিত করেছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণায় কদর বেড়েছে রিলায়্যান্স শেয়ারের। আমার আশা, এ সবের ভাল প্রভাব পড়বে বাজারে।” এলবি সিকিউরিটিজের ডিরেক্টর মনীশ কুমার অগ্রবাল বলেন, “মনে হয়, বিজেপি এলে মানসিক ভাবে লগ্নিকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।”
অনেকের মতে, মার্কিন মুলুকে কর্মসংস্থান সূচক পড়ার ফলেও বাজার উঠেছে। কারণ তাঁদের ধারণা, আমেরিকা বাজার থেকে বন্ড কেনা কমাবে বলে যে-ইঙ্গিত মিলেছিল, এর ফলে তা বাস্তবায়িত হবে না। এতে সে দেশে বাজারে নগদের জোগান বজায় থাকবে, যা বিশ্বের বিভিন্ন শেয়ার বাজারে লগ্নি বৃদ্ধির সহায়ক হবে। এই অবস্থায় সাধারণ লগ্নিকারীদের শেয়ার বাজার থেকে দূরে থাকতে বলেছেন বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে। তিনি বলেন, “এখন লেনদেন থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে অন্তত দেড় -দু’বছর ধরে রাখতে পারলে পড়তি বাজারে ভাল শেয়ার অল্প করে কেনা যেতে পারে।” |