ছুটির সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের জমজমাট স্টেশন চত্বরে পুড়ে ছাই হয়ে গেল অন্তত ১৪টি খাবারের দোকান। আগুন আরও কয়েকটি দোকানের কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছেন দু’জন।
ব্যারাকপুর স্টেশনে প্রবেশপথের ডান দিকেই একটি বড় বটগাছ। তার তলায় সারি সারি খাবারের দোকানে রোজকার মতো রবিবারেও কয়েকশো মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখা আর গ্যাস সিলিন্ডার ফাটার শব্দ ছত্রখান করে দেয় তাঁদের। প্রথম আগুন লাগে একটি খাবারের দোকানে। সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আরও কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও দমকল সূত্রের খবর, সন্ধ্যা পৌনে ৮টা নাগাদ আগুন দেখা যায়। দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার প্রচণ্ড শব্দ করে ফাটতে শুরু করায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দৌড়তে থাকেন ক্রেতারা। স্টেশন-সহ গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওখানে ২০-২২টি দোকান ছিল। তার মধ্যে ১৪টি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। পুড়ে গিয়েছে বটগাছটিও। দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। দমকলকর্মীদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল।
খাবারের দোকানগুলিতে গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না হত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বহু দূর থেকে আগুনের শিখা দেখা গিয়েছে, শোনা গিয়েছে সিলিন্ডার ফাটার শব্দ। স্টেশনের সামনে দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আতঙ্কে প্রথমে লোকজন পালিয়ে গেলেও পরে অনেকেই ভিড় জমান। ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় দমকলকে। শেষে হোসপাইপের জল ছিটিয়ে ভিড় হটিয়ে অকুস্থলে পৌঁছয় দমকল। স্টেশনের পাশে রেল আবাসনের বাসিন্দা সন্দীপা দাস বলেন, “আচমকা শব্দ শুনে বেরিয়ে দেখি, দোকানগুলি জ্বলছে। আর প্রচণ্ড আওয়াজ করে ফাটছে সিলিন্ডার।”
ব্যারাকপুরের একটি কলেজের ছাত্র অর্ণব সরকার বলেন, “আগুনে মানুষ যত না ভয় পেয়েছেন, তার চেয়ে বেশি আতঙ্ক ছড়ায় সিলিন্ডার ফাটতে শুরু করায়।” আগুন নেভাতে গিয়ে হাত জ্বলে যায় এক জনের। অন্য এক জনও জখম হন। বাসিন্দাদের বক্তব্য, যে-ভাবে গ্যাস সিলিন্ডার ফাটছিল, তাতে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। খাবারের দোকানগুলো অত গ্যাস সিলিন্ডার পাচ্ছে কী ভাবে? ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পুর-প্রতিনিধিরা জানান, দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার কী করে এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |