দরদাম নিয়ে বচসার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এক ব্যবসায়ীর উপর চড়াও হল জনা কয়েক দুষ্কৃতী। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ধর্মদা বাজারে ওই ঘটনায় জখম ব্যবসায়ী বছর সাতাশের সন্তু রুদ্র বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পেটের নীচের দিকে গুলি লেগেছে। অভিযুক্তরা বেপাত্তা।
ভরা বাজারে আচমকা দুষ্কৃতী তাণ্ডবে ক্ষুব্ধ শ’তিনেক ব্যবসায়ী রবিবার বাজার বন্ধেরও ডাক দেয়।
ধর্মদা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সমিতির সম্পাদক নারায়ণ দত্ত বলেন, ‘‘অনেকদিন ধরেই এলাকায় দুষ্কৃতী- দৌরাত্ম্য চলছে। কিছু মদের ঠেকও রয়েছে বাজারে। পুলিশ বেআইনি মদের কারবার বন্ধ করে না নাকাশিপাড়া থানাকে মৌখিকভাবে দুষ্কৃতী-দমনের জন্য বলেও লাভ হয়নি। পুলিশ কোনও কথাই কানে তোলে না।’’ পুলিশ কোনও রকম পদক্ষেপ না করলে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামারও হুশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণবাবু।
রবিবারের বারবেলায় ধর্মদা বাজারে গিয়ে জনরোষের চিত্রটা চোখে পড়ল। সবজি বাজারের পাশেই রয়েছে সন্তুবাবুর চা-বিড়ির দোকান। সন্ধ্যার পর এলাকার দাদাদের আব্দার মেটাতে তিনি বাংলা মদও এনে দিতেন বলে অভিযোগ। শনিবার পাশের রুকুনপুর গ্রামের জনাকয়েক চেনা সমাজবিরোধী সন্তুবাবুর দোকানে মদ কিনে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তারপর দু’পক্ষে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে কোমরে গোঁজা বন্দুক থেকে দুষ্কৃতীরা সন্তুবাবুকে তাক করে গুলি চালায়। এই ঘটনা ঘিরে উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ চোলাইয়ের কারবারিদের উৎসাহ দেয়। পুলিশি আসকারাতেই এলাকায় চোলাইয়ের এত রমরমা মদের ঠেকে পুলিশ হানা চালায় না? এ ব্যাপারে নদিয়ার ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) রবিউল আলাউল সর্দার বলেন, ‘‘শনিবার দুষ্কৃতীদের গুলি চালানোর খবর জানি। কিন্তু পুলিশি-মদতে চোলাই ঠেক চলার কথা জানি না। বিষয়টি অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করা হবে।’’ |