|
|
|
|
ভুয়ো দলিল দেখিয়ে ঋণ, গ্রেফতার চার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ভুয়ো দলিল দেখিয়ে ঋণ নেওয়ার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কয়েক মাস আগে ঘাটালের এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে ভুয়ো তথ্য দেখিয়ে শতাধিক ঋণগ্রহীতা সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছিল, ওই ঘটনায় ব্যাঙ্কের ফিল্ড অফিসার প্রণব সাইকিয়া-সহ একটি চক্র জড়িত। সম্প্রতি তা নজরে আসতে একাধিক ঋণগ্রহীতার নামে ঘাটাল থানায় ফৌজদারি মামলা করেন ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ম্যানেজার নিরঞ্জন সোয়াইন। ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্তারা প্রাথমিক তদন্তের পরই ওই ফিল্ড অফিসারকে সাসপেন্ড করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ঘাটাল থানার পুলিশ। শনিবার রাতে ঘাটাল ও চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ যৌথ অভিযানে চার জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের রবিবার ঘাটাল আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।
ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, বছর খানেক ধরে একটি চক্র একাধিক ঋণগ্রহীতাকে যোগসাজশ করে ভুয়ো দলিলের বিনিময়ে দু’লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা কৃষি ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন। নিয়মানুযায়ী, ওই ঋণের ক্ষেত্রে ফিল্ড অফিসারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত স্বয়ং ফিল্ড অফিসারই। তবে জমির দলিল-সহ অন্য কাগজপত্র দেখার জন্য ব্যাঙ্কে একজন আইনজীবীও থাকেন। তিনি তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেন। ওই দু’জন সম্মতি দিলে ব্যাঙ্কের শাখা প্রবন্ধকরা সই করেন। তারপরই সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছেন, ফিল্ড আফিসার, আইনজীবী-সহ একটি চক্র সব কিছু জেনে বুঝে ওই ভুয়ো ঋণ দিয়েছেন। তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ম্যানেজার ২৮ জনের নামে মামলা করেন। অভিযুক্তদের সকলেরই বাড়ি চন্দ্রকোনা ২ ব্লকে। শনিবার পুলিশ চন্দ্রকোনা বান্দিপুরের মানিক সিংহ, যোগেন্দ্র মাল ও সংলগ্ন পলাশা গ্রামের চিত্ত মাল, সুভাষ কারফাকে গ্রেফতার করে। বাকিরা এখনও পলাতক। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে অভিযুক্তদের বেশির ভাগেরই নিজস্ব জমি নেই। অথচ, এরা সবাই আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা ঋণ পেয়েছেন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|