কলেজ ভবন কবে, কাটছে না সংশয়
কোলাঘাটে নেই স্থায়ী শিক্ষক
যেন ভাড়াবাড়ি থেকে উৎখাত হয়ে কিছু দিনের জন্য আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে ওঠা !
প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন এবং ভবন তৈরির অর্থ মিললেও এখনও ‘ভবঘুরে’ কোলাঘাট রবীন্দ্রভারতী মহাবিদ্যালয়। আপাতত কলেজের ঠিকানা কোলাঘাট শহরের কোলা ইউনিয়ন হাইস্কুল। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, জমি চিহ্নিত হয়েছে। অবিলম্বেই ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে।
২০১০ সালের মাঝামাঝি কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উপনগরীর কাছে নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চালু হয় এলাকার একমাত্র ওই ডিগ্রি কলেজ। পাশ কোর্সের পাশাপাশি ধীরে ধীরে চালু হয় বাংলা, ইতিহাস, ইংরাজি, এডুকেশন এবং সংস্কৃতের স্নাতক স্তরের পঠনপাঠন। প্রথম বছরে পড়ুয়া ছিলেন ৫০ জন। ইতিমধ্যে কলেজের প্রথম বছরে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের ১০ জন স্নাতক হয়েছেন।
বর্তমানে কলেজের পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০০। কিন্তু এখনও যেমন স্থায়ী ভবন তৈরি হয়নি, তেমনই নিয়োগ করা হয়নি স্থায়ী শিক্ষকও। আংশিক সময়ের এবং অতিথি শিক্ষক হিসেবে ১৩ জন কলেজে পঠনপাঠন চালাচ্ছেন। বছর খানেক আগে ভাড়াবাড়ি থেকে কলেজটি উঠে আসে কোলা ইউনিয়ন হাইস্কুলে। সেখানকার কয়েকটি ঘর নিয়ে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত পঠনপাঠন চলছে কলেজের।
কোলা ইউনিয়ন স্কুলে চলছে রবীন্দ্রভারতী মহাবিদ্যালয়। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।
২০১০ সালে কোলাঘাটের তৎকালীন সিপিএম বিধায়ক অমিয় সাহুর উদ্যোগে কলেজটি চালু হয়। অমিয়বাবুর দাবি, সেই সময় তিনি কলেজের নিজস্ব ভবন গড়তে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র লাগোয়া আমলহাণ্ডা মৌজায় নির্মীয়মাণ একটি মডেল পলিটেকনিক সেন্টার সংলগ্ন রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের প্রায় একর জমি ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ভবন তৈরির জন্য বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে তিনি নিজে ৫৫ লক্ষ টাকা এবং সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ শ্যামল চক্রবর্তী ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন।
তা হলে এখনও কেন হল না ভবন তৈরি?
কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য তথা কোলাঘাটের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, “আমলহাণ্ডার জমিটি এখনও কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে আসেনি। তা ছাড়া, ওই জায়গাটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধা -সহ আরও কিছু সমস্যা আছে।” তিনি জানান, ওই জমির পরিবর্তে কোলাঘাট নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি বিকল্প জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিচালন সমিতির সভাপতি অনিন্দ্যকিশোর ভৌমিক বলেন, “আমরা চাই আমলহাণ্ডার ওই জমিতে মূল কলেজ ভবন না করে জায়গাটিকে কলেজেরই নানা কাজে ব্যবহার করতে।”
কলেজের নিজস্ব ভবন না থাকায় অসুবিধার কথা স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপনকুমার মণ্ডল বলেন, “নিজস্ব বাড়িতে কলেজ না হওয়ায় পড়ুয়াদের পাশাপাশি আমাদেরও নানা অসুবিধা হয়। আমরা চাই কলেজের দ্রুত নিজস্ব ভবন হোক।”
কিন্তু এখনও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হল না কেন? কলেজটি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ সমূহের পরিদর্শক বিনয় চন্দ্র বলেন, “কলেজ সার্ভিস কমিশন শিক্ষক না দেওয়ায় কয়েক বছর ধরে কোনও কলেজেই স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। তাই ওই কলেজে কী ভাবে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে?”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.