শিলিগুড়ি দিল আরও এক জাতীয় টিটি চ্যাম্পিয়ন
মান্তু ঘোষ, শুভজিৎ সাহা, সৌম্যজিৎ ঘোষের পর এ বার অঙ্কিতা দাস। শিলিগুড়ি থেকে উঠে এল টেবল টেনিসে আর একজন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন।
শিলিগুড়ির রবীন্দ্রনগরের মেয়ে রবিবার পটনায় জাতীয় টিটি-র ফাইনালে বাংলারই প্রতিদ্বন্দ্বী কৃত্তিকা সিংহ রায়কে ৪-০ গেমে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন। যদিও কর্মসূত্রে অঙ্কিতা পিএসপিবি এবং কৃত্তিকা এয়ারপোর্ট অথরিটি-র হয়ে খেলেন।
পটনায় বাংলার অন্য টিটি তারকাদের ব্যর্থতার মধ্যে (পৌলমী ঘটক, মৌমা দাস, সৌম্যজিৎ ঘোষ কোয়ার্টার ফাইনালে এবং সৌম্যদীপ রায় সেমিফাইনালে হারেন) অঙ্কিতার সাফল্য যেন আরও বেশি নজরকাড়া।
গত লন্ডন অলিম্পিকে দেশের দু’জনমাত্র টিটি প্লেয়ার হিসেবে অংশ নিয়ে ভারতীয় ক্রীড়ামহলের নজর কেড়ে ছিলেন শিলিগুড়ির অঙ্কিতা এবং সৌম্যজিৎ ঘোষ। সৌম্যজিৎ গত বছর জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হলেও অঙ্কিতা সেমিফাইনালে ছিটকে যান। সেই আক্ষেপ এ বার পুষিয়ে নিলেন তিনি।

পটনায় অঙ্কিতা দাস। ছবি: পিটিআই।
ফোনে অঙ্কিতা বললেন, “পরপর দু’বছর সেমিফাইনালে ছিটকে যাওয়ায় আক্ষেপ তো ছিলই। সেই বাধাটা টপকে শেষমেশ ফাইনালেও জিতে আমি সত্যি দারুণ খুশি।” গত বছর কে শামিনীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। তার আগের বার সেমিফাইনালে হেরেছিলেন পৌলমীর কাছে। এ বার সেমিফাইনালে কৃত্তিকার কাছে শামিনী হারায় তাঁকে খেলতে না-হলেও কোয়ার্টারে পৌলমীকে ৪-১ হারিয়ে বদলা নেন অঙ্কিতা। সেমিফাইনালে ৪-০ হারান তামিলনাড়ুর রীত রিশইয়াকে।
উত্তরবঙ্গ টিটি সংস্থার প্রেসিডেন্ট, প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মান্তু ঘোষ বললেন, “অঙ্কিতার থেকে এই সাফল্য প্রত্যাশাই করেছিলাম। আরও আগেই ও জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হত। কিন্তু বেশ কিছু জেতা ম্যাচ হেরে যাচ্ছিল। এ বার সেটা হয়নি।”
প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পিটার কার্লসনের কাছে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিলেন অঙ্কিতা। কিন্তু বাড়ির অমতে যাওয়া হয়নি। তা নিয়ে আফসোস ছিল। সিনিয়র জাতীয় খেতাব অঙ্কিতার সেই আফসোস হয়তো দূর করবে। তবে কোচ অমিত দামের কথাও বলা উচিত। প্রচারের অলক্ষ্যে থাকা এই বাঙালি টিটি কোচের শিষ্য হিসাবে কস্তুরী চক্রবর্তী, সৌম্যজিৎ ঘোষের পর অঙ্কিতা দাস-ও ক্যাডেট, সাব-জুনিয়র, জুনিয়র, যুব (অনূর্ধ্ব-২০) এবং সিনিয়রপাঁচ বিভাগেই জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিরল নজির গড়লেন।
অঙ্কিতার বাবা তথা পেশায় সেচ দফতরের কর্মী অসীমবাবু এবং মা সঙ্গীতা দেবী এ দিন পটনায় পাটালিপুত্র স্পোর্টস কমপ্লেক্সে মেয়ের খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন। মেয়ের জয়ে আপ্লুত অসীমবাবু ফোনে বললেন, “ওর এত দিনের স্বপ্ন সফল হল।” এ বার সুযোগ পেলে মেয়েকে বিদেশি কোচের কাছেও প্রশিক্ষণে পাঠাতে চান তিনি।
রবীন্দ্রনগরে পাড়ায় অমিত দাম টেবল টেনিস অ্যাকাডেমি গড়লে তার জমি কেনা থেকে অ্যাকাডেমি তৈরি সব কাজে জড়িত ছিলেন অঙ্কিতার বাবা অসীমবাবু। মেয়েকে সেখানে ভর্তি করেও দিয়েছিলেন। গত ছ’মাস শিলিগুড়ির ছেলে তন্ময় দত্ত ব্যক্তিগত কোচ হিসাবে অঙ্কিতাকে অনুশীলন করাচ্ছিলেন শিলিগুড়ি রিক্রিয়েশন ক্লাবে। বাড়তি ফিটনেসের জন্য আলাদা ভাবে একজনের কাছে জিমও করেছেন। শেষ পর্যন্ত সেই পরিশ্রমের সুফল মিলল শিলিগুড়ির বাঙালির।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.