সকাল আটটা থেকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে গ্রামে দাপাদাপি করল এক পূর্ণবয়স্ক বাইসন। কয়েকটি বাড়ির দরমা বেড়া ভাঙা, গোয়ালঘরে ঢুকে খুঁটিতে বাঁধা গরুদের গুতিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে বনকর্মী, বাসিন্দাদের দিকে তেড়ে যায় বাইসনটি। দুপুর ১টা নাগাদ বন কর্মীরা ঘুম পাড়ানি গুলি ছুড়ে ওই বাইসনটিকে কাবু করেন। পরে সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। রবিবার আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকে দক্ষিণ সোনাপুর ঘোষপাড়া এলাকার ঘটনা।
লাগোয়া চিলাপাতার জঙ্গল থেকে এ দিন সকালে পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী বাইসনটি গ্রামে ঢুকে পড়ে। |
আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের দক্ষিণ সোনাপুরের ঘোষপাড়া
এলাকায় রবিবার নারায়ণ দে’র তোলা ছবি। |
| বাইসনের আতঙ্কে বাসিন্দারা কেউ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন, কেউ বা আবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়ির চালে উঠে পড়েন। সকাল থেকে ঘরবন্দি ছিলেন অজুর্ন ঘোষ, চায়না ঘোষ, শিপ্রা ঘোষেরা। বন্যপ্রাণ ৩ বিভাগের সহকারী ওয়ার্ডেন (বন্যপ্রাণ) শ্বেতা রাই বলেন, “ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে দুপুর একটা নাগাদ বাইসনটিকে কাবু করা হয়। বাইসনটিকে চিলাপাতার বানিয়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কখনও গোয়ালঘরে ঢুকে কখনও বা খুঁটিতে বাঁধা গরুগুলিকে শিং দিয়ে গুঁতিয়ে জখম করে বাইসন। এলাকার বাসিন্দা বিজয় কৃষ্ণ রায় বলেছেন, “পাড়ায় বাইসন ঢোকার খবর পেয়ে বাইরে গিয়ে দেখি পাশের রাস্তায় বাইসনটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিছু পরেই আমার গোয়ালঘরের বেড়া ভেঙে ঢুকে পড়ে। গোয়ালঘরে ৫টি গরু ছিল। সকাল আটটা থেকে প্রায় সাড়ে নটা পর্যন্ত গোয়ালঘরের সামনেই ওই বাইসনটি দাঁড়িয়ে ছিল। তিনটে গরুকে গুতিয়ে জখম করেছে।” এক সময়ে বনকর্মীদের দিকেও তেড়ে যায় বাইসনটি। বাইসনটি পা হড়কে পড়ে যাওয়ায় বনকর্মীরা দূরে পালিয়ে যান। এলাকার বাসিন্দা স্বপন কুমার ঘোষের কথায়, “ভয়ে মহিলারা বাচ্চাদের নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে ছিল। বাইসনটি কমপক্ষে ১০-১২টি গরুকে জখম করেছে।” |
