দিল্লি বিধানসভা দখলের পরে বিভিন্ন রাজ্যে সদস্য সংগ্রহে হাত দিয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। তা চলছে হুগলিতেও। তার ফাঁকেই রবিবার রিষড়ার চারবাতি এলাকায় দুর্নীতিকে বিষয় করে এক আলোচনা চক্রের আয়োজন করে ফেলল নতুন দলটি। তাতে যোগ দিতে এসেছিলেন হুগলি লাগোয়া কয়েকটি জেলার কয়েকশো মানুষ।
এ দিন বিকেলে একটি অনুষ্ঠানবাড়ির ছাদে ম্যারাপ বেঁধে শুরু হয় আলোচনা চক্র। প্রশাসনিক নানা স্তরে দুর্নীতির কথাই মুখে মুখে ঘুরেছে সকলের। দলের নতুন সদস্যেরা যেমন আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন, তেমনই ছিলেন একেবারে ‘অরাজনৈতিক’ মানুষও। এ দিনও নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজ চলে। নতুন সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘ট্রেডমার্ক’ টুপি। আপ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন ভদ্রেশ্বরেও ৭৫ জন নতুন সদস্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন জেলার প্রতিটি রেল স্টেশনে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলবে।
আলোচনায় যোগ দিতে আসা আরামবাগের শাহেনশা চৌধুরী বললেন, “সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। এই অবস্থা থেকে বেরোতে হলে জোট বাঁধতে হবে। আপের মাধ্যমে হয়তো ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।” উত্তর ২৪ পরগনার কৈখালির দেবব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা মনের তাগিদে এখানে এসেছি।” হুগলির মির্জা আলতাফ হোসেনের বক্তব্য, “ভোটের পরে নেতারা ফিরেও তাকান না। কিন্তু দিল্লিতে ঠিক উল্টোটা হচ্ছে। আপ সেখানে সরাসরি মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে।” শ্রীরামপুরের সুজিত ঝা আপের সক্রিয় সদস্য। তাঁর দাবি, “সব স্তরের দুর্নীতির বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। প্রতিদিন বহু সমস্যা শুনছি আমরা। সমস্যাগুলি পর্যালোচনা করছি। সেখান থেকেই আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে।”
তবে আপ নিয়ে উৎসাহকে তেমন পাত্তা দিতে রাজি নয় অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “হুগলিতে ওরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।” জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবের কথায়, “রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিছু ভাববেন না। ওরা বৃথা সময় নষ্ট করছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “শুধুমাত্র দুর্নীতির কথা বলে কি সমাজ বদল করা যায়? দেশের অর্থনীতি নিয়ে ওদের চিন্তাভাবনা কী, তাও এখনও স্পষ্ট নয়।” |