ফের ফাঁকা ফ্ল্যাটে চুরি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দমদম মতিঝিলের কাছে একটি আবাসনে। আর এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে শহরের আবাসনগুলির নিরাপত্তা।
মাস দুই আগে নিউ টাউনের এক আবাসনে দিনেদুপুরে দুষ্কৃতীরা ঢুকে আবাসিকদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতি করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, রক্ষী থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা ঢিলেঢালা হওয়ার সুযোগেই এই ঘটনা ঘটে। এ দিন দমদমের চুরির ঘটনাতেও আবাসনের নিরাপত্তা কতটা ছিল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দমদমের ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ইন্দ্রজিৎকুমার ঘোষ স্ত্রী-কে নিয়ে ছেলের বাড়ি গিয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। এ দিন সকালে এক প্রতিবেশী দেখেন, ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভাঙা। খবর পেয়ে ইন্দ্রজিৎবাবু ফিরে দেখেন, ঘরের আলমারি গ্যাসকাটার দিয়ে কাটা। ভিতরে টাকা-গয়না তছনছ। তাঁর দাবি, নগদ ২০ হাজার টাকা, কয়েক ভরি সোনা ও জামাকাপড় খোয়া গিয়েছে। ওই প্রৌঢ় পুলিশকে জানান, তাঁর ছেলে সল্টলেকে থাকেন। সেখানেই গিয়েছিলেন তাঁরা।
দমদম রোডের জনবহুল এলাকায় ওই আবাসনে কারা ঢুকছে-বেরোচ্ছে, তাদের নাম-ঠিকানা ঠিকমতো নথিভুক্ত হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জেনেছে, আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী সব সময়ে উপস্থিত থাকেন না। শুধু আবাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নয়, প্রশ্ন উঠেছে দমদম থানার টহলদার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। স্থানীয় এক বহুতলের বাসিন্দা সৌমেন্দু রায় জানান, মাস কয়েক আগে প্রায় একই কায়দায় ফাঁকা ফ্ল্যাটে ও একটি ঘরে চুরি হয়। তাঁর অভিযোগ, রাতে পুলিশ নিয়মিত টহল না দেওয়াতেই দুষ্কৃতীরা সাহস পাচ্ছে।
যদিও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “আগের থেকে টহলদারি ভ্যান অনেক বেড়েছে। রাতে মোটরসাইকেলে পুলিশ টহল দিচ্ছে। কয়েকটি চুরির কিনারাও হয়েছে।” তবে ওই পুলিশকর্তাদের দাবি, দমদমের অলিগলিতে প্রচুর আবাসন। সবগুলির সমস্ত ফ্ল্যাটে নজরদারি চালানো কার্যত অসম্ভব। তাই ফ্ল্যাটের নিরাপত্তা নিয়ে আবাসিকদেরও সচেতন থাকা দরকার। আবাসনে ঢোকা-বেরোনোর সময়ে সঠিক ভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। আবাসনের ভিতরে গেটের সামনে অন্তত একটা সিসিটিভি থাকা জরুরি।
এ দিনই পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার কমিন্ট পার্কের একটি বাড়িতেও ফাঁকা থাকার সুযোগে চুরির ঘটনা ঘটে। রাতে থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করেন গৃহকর্তা। এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ জানায়, থানায় দায়ের করা অভিযোগে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, এ দিন সকাল থেকে পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না। বিকেলে ফিরে তাঁরা দেখেন, বাড়ির পিছনের দিকে গ্রিলের একাংশ ভাঙা। বাড়ির ভিতর থেকে খোয়া গিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার গয়না-সহ নগদ কয়েক হাজার টাকাও। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। |