ফের শুরু হল মনোহরদাস তড়াগ সৌন্দর্যায়নের কাজ। বাম আমলে বহু টাকা খরচ করে সাজানো হয়েছিল নিউ মার্কেট সংলগ্ন এই জলাধার। কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর ফিতে কাটার অনুষ্ঠানই ছিল সার। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অচিরেই বর্জ্যে ভরে গিয়েছিল চারপাশ। পুরসভার ‘হেরিটেজ’ তকমাধারী কিন্তু পূতিগন্ধময় এই জলাশয় সাজাতে এ বার হাত লাগাল রাজ্য। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে অ্যালবার্ট রোড সংলগ্ন ভিক্টোরিয়া স্কোয়ারের সংস্কারের কাজ।
জওহরলাল নেহরু রোডের ধারে মনোহরদাস তড়াগ গত কয়েক দশক ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে। স্বাধীনতার পরে এটি সংস্কার হয় এবং একটি স্মারক বসানো হয় তড়াগের পশ্চিম পাড়ে। ১৯৪৮ সালের ১২ অক্টোবর এটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন রাজ্যপাল।
২০০০-২০০১ সালে ওই তড়াগের বড় মাপের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন হয়। মূল কাজটি কেএমডিএ করলেও এইচআরবিসি, রাজ্যের পরিবেশ দফতর এবং মেট্রোরেলও ওই প্রকল্পে শরিক ছিল। কিন্তু বছরখানেক পর থেকেই আবার জলাশয় ও তার আশপাশের এলাকার অবস্থা খারাপ হতে
শুরু করে। চারপাশ ভরে যায় আগাছা-জঙ্গলে। |
অবশেষে সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন হবে মনোহরদাস তড়াগের। |
জলাশয়ের চার ধারে শিব, বিষ্ণু, দুর্গা ও সূর্যের চারটি মন্দির রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পরিষ্কার করে রং করা হচ্ছে। আগাছা পরিষ্কার করে তৈরি হচ্ছে ভিতরের হাঁটাপথ। ঢেলে সাজা হচ্ছে তড়াগ সংলগ্ন নিকাশি ব্যবস্থা।
ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ত দফতরের এক পদস্থ অফিসার বলেন, “শীঘ্রই জলাশয় সংলগ্ন গ্রিলের সংস্কার ও আধুনিক আলো লাগানোর কাজে হাত দেওয়া হবে।” সেই সঙ্গে রঙিন টালি বসিয়ে সংলগ্ন প্রেস ক্লাবের পথেরও মানোন্নয়ন করা হচ্ছে।
কলকাতা পুরসভার সদর দফতরের অদূরে ওই জলাশয় ও সংলগ্ন উদ্যান সংরক্ষণের দায়িত্ব কি পুরসভা নিতে পারে না? পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমারের উত্তর, “ময়দানের মালিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক চায়, এখানকার সংস্কারের কাজ পূর্ত দফতর করুক। পূর্ত দফতর যদি আমাদের দায়িত্ব নিতে বলে, পুরসভা নিশ্চয়ই তা বিবেচনা করবে।”
অন্য দিকে, ভিক্টোরিয়া স্কোয়ারও দীর্ঘদিন পরিচর্যার অভাবে শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। দেবাশিসবাবু বলেন, “দুই পর্যায়ে এটির সৌন্দর্যায়ন করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। আপাতত চলছে জলাশয়ের চারপাশের সংস্কার। মূল জলাশয়ের মানোন্নয়নের কাজ হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে।” |