পুরপ্রধান-সহ ১০ কাউন্সিলর মাস দুয়েক আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এ বার কংগ্রেসের ব্লক ও শহর কার্যালয়ের নাম পাল্টে তৃণমূলের ব্লক ও শহর কার্যালয় বলে উদ্বোধন করা হল। আগে থেকে সাঁইথিয়া শহরে তৃণমূলের ব্লক ও শহর কার্যালয় থাকা সত্ত্বেও নতুন করে শনিবারের ওই উদ্বোধনকে ঘিরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে সাঁইথিয়ায় সন্ধানীমোড়ের কাছে তৃণমূলের ওই কার্যালয়ের উদ্বোধন করেছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শনিবারও তিনিই তৃণমূলের নতুন ব্লক ও শহর কার্যালয়টির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম ও নানুরের বিধায়ক গদাধর হাজরা প্রমুখ। কিন্তু দলের সাঁইথিয়া শহর সভাপতি ও দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত মানস সিংহ গরহাজির ছিলেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন না সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতগুলির তৃণমূল সদস্যেরা।
প্রয়াত কংগ্রেস নেতা নীহার দত্তের ছেলে বিপ্লব মাসখানেক আগে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনিই ছিলেন এ দিনের অনুষ্ঠানের পুরোধায়। ছিলেন কংগ্রেস ত্যাগী তৃণমূল কাউন্সিলররাও। এ ছাড়া তৃণমূলের কিছু ব্লক নেতা ও কর্মীরা। বিপ্লববাবুরা এই কার্যালয় উদ্বোধন করা নিয়ে গত ক’দিন ধরে শহরজুড়ে জোর প্রচার চালিয়েছিলেন। দল সূত্রের খবর, তা জানতে পেরে শুক্রবারই সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতগুলির ৩৩ জন তৃণমূল সদস্য লিখিত ভাবে দলের জেলা সভাপতির কাছে ওই কার্যালয় চালু না করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা, এতে দলের কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবে। দলের সংহতি রক্ষার কাজেও বাধা সৃষ্টি হবে। কিন্তু তার পরেও অনুব্রতবাবুরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। আগে এই শহরে তৃণমূলের একটি কার্যালয় থাকা সত্ত্বেও কেন ফের নতুন করে আরও একটি কার্যালয় খুলতে হল তা নিয়ে অনুব্রতবাবু মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “এ নিয়ে কিছু বলবই না।” ওই অনুষ্ঠানের মাঝে তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের শহর সভাপতি পিনাকী দত্ত, উপপুরপ্রধান অনিতা সরকার-সহ কয়েকজন। তৃণমূলের শহর সভাপতি মানস সিংহ বলেন, “ওই কার্যালয় উদ্বোধনের ব্যাপারে আমাকে কেউ জানাননি। তাই ওখানে যাইনি।” বিভ্রান্ত ব্লক তৃণমূল কর্মীদের প্রশ্ন, “এ বার থেকে আমরা কোন কার্যালয়ে আমরা যাব?” |