বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনাচক্র
গুণগত মানের দিক দিয়ে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক সমিতির শিক্ষা সংক্রান্ত এক আলোচনাচক্রে উঠে এসেছে এমনই ভাবনা। শুক্র শনিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি নিবাসে আয়োজিত ওই আলোচনাচক্রে যোগ দিয়েছিলেন যাদবপুর, আলিয়া বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাক্তন উপাচার্যেরা। ছিলেন সারা বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় আধিকারিক সমিতি সারা ভারত আধিকারিক সমিতির নেতারাও। সেখানেই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সামসুল আলম বলেন, “উচ্চশিক্ষার তিনটি দিক। একটি শিক্ষাদান, একটি গবেষণা শেষটি সমাজ শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের উন্নয়ন। প্রথম দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পালিত হলেও, শেষেরটি উপেক্ষিত হচ্ছে।”
যাদবপুরের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “বেসরকারি ক্ষেত্রে যে সমস্ত দিক অবহেলিত, সরকারি পর্যায়ে সেগুলির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তার সদব্যবহার হচ্ছে না।”
বর্ধমান শহর বা জেলার মানুষেরও অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ববরাবরই একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে রয়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা -সহ বিভিন্ন কাজের সুফল এই জেলা বা শহর পায় না।
তবে দিন বর্ধমান বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার বলেন, “বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লাইফ লার্নিং বা প্রবহমান বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষই ওই কেন্দ্রের মাধ্যমে হাতেকলমে কাজ শিখতে পারেন। যেমন মাশরুম চাষ, ভেষজ চাষ ইত্যাদি।” বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় আধিকারিক সমিতির সম্পাদক শেখ নাজিমুদ্দিন বিশ্বাসও বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকে। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি পেশাদারিত্বের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে পারে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.