বই মেলার প্রচারে হাঁটো। আবার দু’ঘণ্টা ধরে বক্তৃতা শোনো! কতক্ষণে টিফিন নিয়ে বাড়ির পথ ধরবে, এই চিন্তায় উসখুস করছিল কয়েকশো পড়ুয়া। উদ্যোক্তারা তাদের এনেছিলেন বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। কিন্তু বক্তৃতা শুনতে বসে ধৈর্য আর রাখতে পারছিল না খুদে পড়ুয়াদের অনেকে। বিষয়টা আর কেউ না বুঝলেও হাড়ে হাড়ে টের পেলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার। বক্তৃতার মাঝে পড়ুয়ারা মেলার মাঠ ছেড়ে হাঁটতে শুরু করলে পরিস্থিতি সামাল দিতে উপাচার্য নিজেই আসরে নামলেন। তিনি পড়ুয়াদের কাছে চেয়ে নিলেন পাঁচ মিনিট। রাজি হয়ে গেল পড়ুয়ারাও।
|
আসানসোল বইমেলার স্মৃতি আজও তাড়া করে কানাডা নিবাসী আত্রেয়ী সেনকে। ১৩ বছর আগে শেষ বার এই মেলায় এসেছিলেন গোপালপুরের এই বাসিন্দা। আসানসোলের কলেজে যখন পড়তেন, রোজই বন্ধুদের সঙ্গে আসতেন। এ বার দু’দিন পরেই তাঁকে ফিরে যেতে হবে। তাই প্রথম দিনই চলে এলেন বইমেলার মাঠে। পৌঁছে বিস্ময় তাঁর চোখে। বলছেন, “পাল্টায়নি কোনও কিছুই। গোটা দেশে এত কিছুর পরিবর্তন হল। বইমেলাটা থেকে গিয়েছে একই রকম। প্রথম দিন ঢুকে এ বারও দেখলাম, চার দিকে ঠুকঠাক আওয়াজে স্টল তৈরির কাজ চলছে। সেজে ওঠেনি বইয়ের তাক।” স্মৃতিতে আটকে থাকা পুরনো ছবির সঙ্গে এই ছবি যেন মিলে গেল আত্রেয়ীদেবীর। |