|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
গোধিকা |
আমাদের বাড়ির পাশে একটি বড় কচুরিপানা ভর্তি পুকুর আছে। সেই পুকুরে কয়েকটি গোধিকা (গোসাপ) আছে। পুকুরের পাড়ে তারা উঠে রোদ পোহায়। তাদের দেখলে মনে হয় এক একটি বাচ্চাকুমির। তাদের মধ্যে সবথেকে বড়টি লম্বায় প্রায় পাঁচ ফুট, পিঠে চাকাচাকা দাগ এবং চকচকে। রোজ সকালে ভাত খাওয়ার পর কাঁটা ফেলবার সময় হলে, ওই বড় গোধিকাটি আমাদের বাড়ির জানলার দিকে তাকিয়ে থাকে। কী ভাবে যে ও সময়টাকে বুঝতে পারে, তা আমি বুঝে উঠতে পারি না। তার পর মাছের কাঁটা, মেঝেতে পড়া ভাত ও অন্যান্য খাবারের অংশ ফেললে ও খেয়ে কিছু সময় রোদ পোহায়, তার পর ওর আস্তানায় ফিরে যায়।
অর্কপ্রভ জানা। প্রথম শ্রেণি, রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম বিদ্যালয়, তমলুক |
|
|
গর্তে টিয়ার বাসা |
আমাদের বাড়ির দোতলার জানলার পাশেই একটা পাতাহীন সুপুরি গাছ দেখা যায়। এক দিন পড়তে বসেছি হঠাত্ দেখি সুপুরি গাছটার ন্যাড়া মাথায় একটা ছোট গর্ত থেকে সবুজ রঙের কী যেন একটা উঁকি মারছে। আর কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পরই পুরো টিয়াপাখিটাকে দেখতে পেলাম। প্রতি দিন আমি যখন পড়তে বসি, তখন দেখি টিয়াপাখিটা উড়ে গর্তের বাইরে বেরিয়ে কী যেন সব নিয়ে গর্তের ভেতর ঢোকে। কিছু দিন পরে দেখলাম, ও ওর বাচ্চাদের জন্য মুখে করে খাবার নিয়ে আসে। আর কয়েক দিন পর যখন ওর তিনটে বাচ্চা উড়তে শিখল, তখন দেখি ও বাচ্চাগুলোকে কোন দিন উড়েই চলে গিয়েছে।
অর্পণ বসু। নবম শ্রেণি, কোন্নগর উচ্চ বিদ্যালয় |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|