|
|
|
|
প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে মুখ খুলে বিতর্কে শিন্দে
নিজস্ব প্রতিবেদন
১১ জানুয়ারি |
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মাঝে মধ্যেই তিনি শিরোনামে আসেন। আজ ফের এমনই এক মন্তব্য করেছেন সুশীলকুমার শিন্দে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি খুশি হবেন। শিন্দের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জলঘোলা শুরু হয়েছে।
সোলাপুরে মরাঠি সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে আজ সাক্ষাৎকার ছিল শিন্দের। সেখানেই তিনি বলেন, “যদি পওয়ার প্রধানমন্ত্রী হন, আমি খুশি হব। উনি আমার রাজনৈতিক গুরু।” সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “প্রত্যেকেরই জীবনে উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকে। উনি তো সেই ’৯২ সাল থেকে চেষ্টা করছেন।” যদিও প্রবল চাপের মুখে পড়ে দিনের শেষে শিন্দে জানিয়েছেন, তিনি মোটেও এমনটা বলতে চাননি। তিনি এখনও চান রাহুল গাঁধীই প্রধানমন্ত্রী হোন।
মাত্র কয়েক দিন আগেই নাম না করে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে বিঁধেছিলেন পওয়ার। আর গাঁধী পরিবারের সঙ্গে শিন্দের সুসম্পর্কের বিষয়টিও সকলের জানা। গত কালও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রাহুল গাঁধী প্রশংসা করেছেন শিন্দে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর মুখে পওয়ারের প্রশস্তি শুনে স্বভাবতই অস্বস্তিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে কংগ্রেস নেতাদের একাংশ বিষয়টিকে ততটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। শিন্দের সঙ্গে পওয়ারের সম্পর্ক ভাল। ব্যক্তিগত সম্পর্কের নিরিখেই তিনি হয়তো এমন মন্তব্য করেছেন। শিন্দে নিজেও স্বীকার করেছেন, পওয়ারের হাত ধরেই তাঁর রাজনীতিতে আসা।
শিন্দের মন্তব্যকে যদিও আমল দিতে নারাজ পওয়ারের দল এনসিপি। দলের মুখপাত্র নবাব মালিক জানিয়েছেন, পওয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেই। দিন কয়েক আগে পওয়ার নিজেও লোকসভা ভোটে লড়তে ইচ্ছুক নন বলে জানিয়েছেন। মালিকের বক্তব্য, “শরদ পওয়ারই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য যোগ্যতম প্রার্থী। এতে কোনও সন্দেই নেই। তবে এনসিপি তার নিজের ক্ষমতা জানে। মাত্র কয়েকটা আসনে লড়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় না।”
তবে শিন্দে যতই অস্বীকার করুন না কেন, বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধী শিবির। বিজেপির মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকরের বক্তব্য, “কংগ্রেস থেকে যে কেউ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না, তা শিন্দের এই মন্তব্যেই পরিষ্কার।” সেই সঙ্গেই জাভড়েকরের দাবি, দেশের মানুষ নরেন্দ্র মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। তাঁর আরও সংযোজন, “কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সে নিয়ে শিন্দে দিবাস্বপ্ন দেখতে পারেন। তবে দেশের মানুষ এখন থেকেই মোদীর উপর ভরসা করতে শুরু করেছেন।” |
|
|
|
|
|