|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
গবেষণা এবং আন্তর্জাল বইপোকা |
রবীন্দ্রনাথ লইয়া বহু গ্রন্থ রচিত হইতেছে ইদানীং। গ্রন্থগুলির বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। দেখিলে মনে হয়, সত্যই রবীন্দ্রগবেষণায় এমন কিছু কাজ হইতেছে যাহা ভবিষ্যত্ গবেষকদের কাজে লাগিবে। কিন্তু মুশকিল হইল, দুই একটি টিপিয়া দেখিলে গবেষণার ভিত্তি কতটা মজবুত তাহা লইয়া সংশয় উপস্থিত হয়। যেমন, সৌগত মুখোপাধ্যায় ও পিঙ্কি দাস মুখোপাধ্যায়ের ইউরোপীয় ও ভারতীয় ভাষায় অনুবাদের রবীন্দ্রনাথ (ভারততীর্থ প্রকাশনী)। ইংরাজিতে রবীন্দ্ররচনার অনুবাদ লইয়া পঞ্জিমূলক গবেষণা পূর্বে হইয়াছে, কিন্তু একই গ্রন্থে ইউরোপীয় ও ভারতীয় ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথকে ধরিবার বিপুল প্রয়াস যে গ্রন্থের তাহা উপেক্ষণীয় নহে। সেই কারণেই এই গ্রন্থে তথ্যের উত্স সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিল। সম্পাদকদ্বয় সতর্ক ছিলেন কি? তাঁহাদের কিছু সিদ্ধান্ত সে সম্পর্কে প্রশ্নচিহ্ন তুলিয়া দিয়াছে। এক, তাঁহারা লিখিতেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথের অনুবাদের ইতিহাস রচনা করতে গেলে হতে হবে বহু ভাষাবিদ। যে ব্যাপারে আমরা একদমই অক্ষম। মাতৃভাষা বাংলা এবং ঔপনিবেশিক সূত্রে পাওয়া ইংরেজি ছাড়া আর কোন ভাষাই আমাদের জানা নেই। ফলে প্রতিপদে হোঁচট খেতে হয়েছে। এর জন্য আমাদের সহায়ক হিসেবে গুগল ট্রানস্লেট অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল।’ ‘অপরিহার্য সহায়ক’টি যে কেবল ভুলে ভরা সে কথা অনেকেই জানেন। আঁচাইয়া বিশ্বাস করিলে ভাল হইত। দুই, গ্রন্থপঞ্জি-র শেষে ঘোষিত হইয়াছে, ‘এ ছাড়া অনেক তথ্য ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত হয়েছে।’ কোন ওয়েবসাইট? সেগুলির ইউআরএল-ই বা কী? গবেষণার ভুবনে আন্তর্জালের ফাঁদ কিন্তু পাতাই রহিয়াছে! |
|
|
|
|
|