|
|
|
|
অটো দিয়ে থানা ঘেরাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
বে-রুটের অটো চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার সকালে চুঁচুড়া থানা ঘেরাও করে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখালেন ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটের কয়েকশো অটো-চালক।
অটোচালকদের অভিযোগ, গ্রামীণ এলাকার পারমিট পাওয়া অটো এক শ্রেণির নেতার মদতে বেআইনি ভাবে শহরাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে, স্থানীয় অটোয় যাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আয়ও কমে গিয়েছে। হুগলি জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার জানিয়ে কাজ হচ্ছে না। |
|
বেআইনি অটো রুখতে অটো চালকদের চুঁচুড়া থানায় বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র। |
ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে চুঁচুড়া কোর্ট, দেবানন্দপুর, ডানলপ ঘাট, কেষ্টপুর, মগরা ব্লক অফিস, বোড়োপাড়া এবং পোলবার সুদর্শন রুটে মোট ১৩৪টি অটো চলে। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক মাস যাবত ওই সব রুটে অন্য রুটের পারমিট পাওয়া অন্তত ৭০টির বেশি অটো বেআইনি ভাবে চলাচল শুরু করায় রুটের অটো মার খাচ্ছে। জেলাশাসক থেকে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর, জেলা পরিষদ সব জায়গায় জানানো হয়েছে। গত ডিসেম্বরে এই নিয়ে বৈঠকও হয়েছিল। তাতে জেলাশাসক থেকে জেলার পুলিশ সুপার, সবাই ছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। অটোচালক ইউনিয়নের সম্পাদক শেখ আমজাদ আলি বলেন, “সম্প্রতি উচ্চ আদালতের নির্দেশে গ্রামাঞ্চল ছাড়া শহরাঞ্চলের রাস্তায় নতুন করে অটোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বেশ কিছু অটো গ্রামাঞ্চলের পারমিট নিয়ে শহরের রুটে চলাচল করছে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।” অটোচালক সৌমেন মালাকারের আক্ষেপ, “যত দিন যাচ্ছে বেআইনি অটোর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের পেটে লাথি মেরে এ ভাবে অন্য রুটের অটোর দাপট মেনে নেওয়া যায় না।” আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের অধিকর্তা সৈকত দাস বলেন, “এক রুটের পারমিট পেয়ে অন্য রুটে গাড়ি চালানো অপরাধ। তবে অটোর পক্ষ থেকে আগে কোনও অভিযোগ পাইনি। এখন তারা অভিযোগ করেছে। আমরা খতিয়ে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেব।” |
|
|
|
|
|