চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ (সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ) সংস্কারের কাজ শুরু করল কলকাতা পুরসভা। ধাপে ধাপে মোট ছ’কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারের কাজ করতে দু’বছর সময় লাগবে বলে পুরসভার দাবি।
এই রাস্তার অনেক জায়গা উঁচু-নিচু থাকায় গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হয়। পুরসভার কাছে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য অনেক বার আবেদন এসেছে। অভিযোগ, কয়েকটি অংশের মাঝেমধ্যে মেরামতি হলেও পুরো রাস্তাটির সংস্কার দীর্ঘ দিন হয়নি। পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্তকুমার ঘোষ বলেন, “এটি খুব ব্যস্ত রাস্তা। রাস্তাটি খুব উচুঁ-নিচু। তাই এই রাস্তাটির সংস্কারের কথা ভাবা হয়েছে। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।” |
|
|
শুরু হয়েছে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ সংস্কারের কাজ। |
|
পুরসভা সূত্রের খবর, একটি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করিয়ে দেখা গিয়েছে এই রাস্তার নীচের মাটি শহরের অন্যান্য জায়গায় রাস্তার নীচের মাটির তুলনায় আলগা। ফলে, মাঝেমধ্যেই এই রাস্তা বসে গিয়ে উঁচু-নিচু হয়ে গিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই রাস্তাটি মেট্রো তৈরির সময়ে খোঁড়া হয়েছিল। এ ছাড়াও দৈনন্দিন জলের লাইন, টেলিফোন এবং কেব্ল লাইন বসানোর জন্যও এই রাস্তায় খোঁড়াখুড়ি লেগেই থাকে। অনেক জায়গায় রাস্তা খোঁড়ার পরে তা ঠিকমতো বোজানো হয় না। যদিও এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। রাস্তাটি সমান করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে রাস্তা দফতরের এক আধিকারিক জানান।
এই রাস্তার প্রতি দিন বাস চালান পরিমল দাস। তিনি বলেন, “বাস চালাতে মাঝেমধ্যে সমস্যা হয়। রাতে উঁচু-নিচু বোঝা যায় না। সতর্ক না থাকলে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” পুরসভাসূত্রে খবর, তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড ক্ষমতায় আসার পরেই এ ব্যাপারে সচেষ্ট হয়েছিল। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এ কাজ এগোয়নি।
এ ছাড়াও ট্র্যাফিক পুলিশের অনুমতি ছাড়া এ কাজ করা সম্ভব নয়। কারণ, এই রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ডিসি দিলীপ আদক বলেন, “পুরসভা ট্র্যাফিক দফতরকে এই বিষয়ে জানিয়েছে। ট্র্যাফিক দফতর পর্যায়ক্রমে এই রাস্তা মেরামতির অনুমতি দিয়েছে।”
এই প্রকল্প শেষ হতে কত সময় লাগবে?
সুশান্তবাবু জানান, আগামী দু’বছর রাস্তার কাজ হবে। বাজেটে এই খাতে অর্থ বরাদ্দও করা হয়েছে। তবে বৃষ্টির সময়, প্রায় চার মাস এই কাজ বন্ধ থাকবে। বাদবাকি সময় পুলিশ যেটুকু জায়গা নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে সেখানেই এই কাজ করা হবে। তাই এই কাজ শেষ করতে দু’বছর লাগবেই। |
ছবি: দেবস্মিতা চক্রবর্তী। |