নিউমার্কেটের পাশের উদ্যানে চলছে শুয়োরের খোঁয়াড়। দুর্গন্ধে টেকা দায়। কলকাতা পুরসভা-সূত্রে খবর, নিউমার্কেটের সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনায় উদ্যানটির সংস্কার করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “এই উদ্যানটি খুবই নোংরা। নিউমার্কেট-সহ এই এলাকার সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা হচ্ছে। তার মধ্যে এই প্রকল্পকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
গত তৃণমূল পুরবোর্ডের আমলে এই জমিতে পুরসভা একটি উদ্যান তৈরি করে। ফাঁকা জমি রেলিং দিয়ে ঘেরা হয়েছিল। উদ্যানে প্রবেশের জন্য পুরসভা একটি গেটও তৈরি করেছিল। |
এরই নাম উদ্যান। তাও আবার নিউমার্কেটের পাশে। |
কিছু দিনের মধ্যেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে উদ্যানটি নষ্ট হয়ে যায়। পুরকর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারাই এই উদ্যানটি নোংরা করেন। পরে পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয়, সামনের ‘হিডকো বিল্ডিং’-এর জন্য এখানে একটি জলাধার তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। এর পরে ওই ফাঁকা জমিতেই পুরসভা একটি স্কুল তৈরিরও সিদ্ধান্ত নেয়। সেটিও বাস্তবায়িত হয়নি।
পুরসভার উদ্যান বিভাগ সূত্রের খবর, উদ্যানটির ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। অভিযোগ, এখানে শুয়োর চরানো হয়। উদ্যান পরিষ্কার রাখার জন্য পর্যাপ্ত সাফাইকর্মী নেই। নেই নিরাপত্তারক্ষীও। সম্প্রতি পুরসভা থেকে এই এলাকার সমীক্ষা করা হয়েছে। পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, নিউমার্কেট সংলগ্ন এই অঞ্চলটি সাজানো হবে। |
স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর শীলা কপূর বলেন, “এই জায়গার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। নিউমার্কেটের মতো জায়গায় শুয়োর ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরকে শুয়োর সরানোর ব্যাপারে বলা হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতর কয়েক বার অভিযানও চালিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।”
পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভার অভিযানের ফলে সাময়িক ভাবে শুয়োর চরা বন্ধ হয়েছে ঠিকই। তার পরে আবার সেই একই অবস্থা। পুরসভার সব সময় নজরদারি রাখার পরিকাঠামো নেই। এই এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের ব্যাপারে আলোচনা চলছে।” |