কলকাতা থেকে কোচবিহার রুটে হেলিকপ্টারের উড়ান সফল হল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় পরীক্ষামূলক ভাবে কোচবিহার বিমানবন্দরে নামে পবনহংস-র ৭ আসনের হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারে আসা দুই ক্যাপ্টেন মুকেশ মলহোত্র ও হরমিন্দর সিংহ উপল জানান, ব্যবসায়িক ভিত্তিতে চালানোর আগে পরীক্ষামূলক ভাবে দৃশ্যমানতা, পরিকাঠামো দেখে নিতে কপ্টার চালানো হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে দু’জনের আশা শীঘ্রই কলকাতা-কোচবিহার হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা যাবে। এদিন সকাল সওয়া ১০টা নাগাদ কলকাতার বেহালা থেকে কোচবিহারের দিকে পবনহংস সংস্থার ওই কপ্টার রওনা হয়। দুই ক্যাপ্টেন ছাড়াও তাতে ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত ঘোষ ছিলেন। তেল নিতে বাগডোগরায় নামে কপ্টারটি। ৪০ মিনিট সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার পরে কোচবিহারের দিকে রওনা হয়। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে কপ্টারটি কোচবিহারে পৌঁছয়। তবে মাথা পিছু ভাড়া কত টাকা হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে সংস্থা কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের কর্তারা স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি। ভাড়ার বিষয়টি সরকার চূড়ান্ত করবে বলে প্রশাসন কর্তারা এ দিন জানিয়েছেন। সম্প্রতি মালদহ-কলকাতা কপ্টার পরিষেবা চালু হয়েছে। সেখানে মাথা পিছু ১৫০০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকা ভাড়া পড়ছে। কোচবিহারের ক্ষেত্রে ভাড়া দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে থাকবে বলে অনুমান। রাজ্যে পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে উড়ান পরিষেবা চালু করাতে উদ্যোগী হন। কিছু দিন ভর্তুকি দিয়ে ১৮ আসনের ওই বিমান চলাচল করে। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। বেশি আসনের উড়ান চালাতে রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় রাজ্য সরকার আর্থিক বরাদ্দ দেয়। ওই কাজ শুরু হয়েছে। তাতে আরও অন্তত ছয় মাস সময় লাগার কথা। মুখ্যমন্ত্রী ওই কাজ সম্পূর্ণ হবার আগেই বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় হেলিকপ্টার পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা নেন। কোচবিহারের নাম মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তালিকাভুক্ত হয়েছে বলে পূর্ত দফতরে পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, “ওই সংস্থার কর্তারা পরিকাঠামো দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পরীক্ষামূলক ভাবে উড়ান সফল হওয়ায় খুব দ্রুত নিয়মিত হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।” |