রাজ্যে নদী ভাঙন রোধের জন্য নানা প্রকল্পে ২ হাজার কোটি টাকা দাবি করা হলেও কেন্দ্র দেয়নি বলে অভিযোগ করলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মালদহের ভাগীরথী নদীতে স্লুইস গেট ও মুখ্য বাস্তুকারের নতুন ভবন শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ওই অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, “আমরা কেন্দ্রের কাছে দুই হাজার কোটি টাকা দাবি করলেও এক টাকাও পাইনি। নদী ভাঙন প্রতিরোধে কেন্দ্র আমাদের রাজ্যকে কোনও সাহায্য করছে না। অথচ অন্য রাজ্যকে সাহায্যে করছে। এটা কেন্দ্রের রাজনৈতিক অভিসন্ধি। রাজ্যের মানুষ এতে বঞ্চিত হচ্ছেন।”
সেচমন্ত্রী জানান, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ১৫৭২ কোটি টাকা, কান্দি মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৪৪৬ কোটি টাকা, ব্রহ্মপুত্র মাস্টার প্ল্যানের জন্য ১৪৬ কোটি ও গঙ্গা পদ্মা ভাঙন রোধে ৫০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। টাকা দেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পরে কান্দি মাস্টার প্ল্যানের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র কোন টাকা না পাঠানোয় সমস্ত কাজ থমকে গিয়েছে। কলকাতায় সেচ দফতরের জল সম্পদ ভবনে নাম পাল্টানো হচ্ছে বলে এদিন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “জল সম্পদ ভবনের নাম নব সেচ ভবন হচ্ছে। জলসম্পদ ভবনের নাম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পরই সেচ দফতরের ভবনের নাম বদল করা হবে।”
এ দিন মালদহ, দুই দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ, চার জেলাকে নিয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তর) সদর দফতেরে নতুন ভবনের শিলান্যাস করেন সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, কলকাতায় যাতে মানুষকে ছুটে যেতে না হয়, সেই কারণে রাজ্যের আট জায়গায় চিফ ইঞ্জিনিয়ার-এর অফিস খোলা হয়েছে।” মালদহের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল, মূল গঙ্গা নদীর জল সাদুল্লাপুর শ্মশান লাগোয়া মরা ভাগীরথী নদীতে নিয়ে আসা। জেলার মানুষের এই দাবি জেলার দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী সেচমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। এদিন সকালে ৬ কোটি টাকা খরচ করে একটি সুইস গেট বসানের শিলান্যাস করেন সেচমন্ত্রী। এর ফলে এই সুইচ গেট দিয়ে গঙ্গার জল সাদুল্লাপুর শ্মশানে মরা ভাগীরথীতে পৌঁছে যাবে। দফতরের কর্মী অফিসারদের সমর্থক করে বলেন, যে কর্মী অফিসার ভালো কাজ করবে তার জন্য দফতর সেই কর্মী অফিসারকে পুরস্কৃত করবে। যে কর্মী অফিসাররা কাজ করবেন না তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আমরা জোর দিচ্ছি ভাল কাজে। আমরা নির্ধারিত সময় সীমার আগেই সমস্ত কাজ শেষ করতে চাই।” এ দিন শিলান্যাস অনুষ্ঠানে জেলার দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী স্লুইস গেটের জন্য সেচমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন। |