স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য ছাত্রদের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। তা হলে একই কারণে অথবা দেরিতে স্কুলে পৌঁছনোর জন্য কেন শিক্ষকদের জরিমানা করা হবে না? এই প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের নেতৃত্বে অভিভাবকরা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকদের রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকদের একাংশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ুয়াপাড়া এলাকার ক্ষেত্রমোহন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দু’ঘণ্টা ওই বিক্ষোভ চলে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ উঠে যায়। অভিভাবকদের অভিযোগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক যে সমস্ত পরীক্ষার্থী নিয়মিত স্কুলে যায় না, তাদের মাথা পিছু ১০০ টাকা এবং ১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুই স্তরের তিনশো পরীক্ষার্থীর থেকে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা আদায় করেছে বলেও অভিযোগ মায়া সরকার, স্বপ্না দেবের মতো অভিভাবকদের। স্থানীয় কংগ্রেস গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বিমান দে সরকার বলেন, “ছাত্রদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা কোনও খাতে খরচ করা হবে। সেটাও স্পষ্ট নয়, শুধু তাই নয় বিধায়ক তহবিলের আড়াই লক্ষ টাকায় ২০০টি বেঞ্চ তৈরি নিয়েও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কয়েক বার ওই বিষয়ে জানতে চেয়ে উত্তর মেলেনি। তাই স্কুল গেটে তালা দিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীল মল্লিক জানান, ছাত্রদের কাছ থেকে রসিদ ছাড়াই জরিমানার টাকা নেওয়া হচ্ছে। যদিও সুনীলবাবু দাবি করেন, শিক্ষা সংসদের নিয়ম মেনে ছাত্রদের কাছ থেকে নিয়মিত স্কুলে না আসার জন্য জরিমানা হিসেবে টাকা নেওয়া হচ্ছে। নির্দেশাবলীতে কোথাও রসিদ দেওয়ার উল্লেখ নেই। শিক্ষকদের দেরিতে স্কুলে হাজির হওয়ার অভিযোগ অবশ্য তিনি মেনে নেননি। প্রধান শিক্ষক বলেন, “হঠাত্ কোনওদিন দু’-একজনের স্কুলে পৌঁছতে কিছুটা দেরি হলেও প্রত্যেকে নিয়মিত স্কুলে আসেন ও থাকেন।” |