নকশালবাড়ির এক শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তকে ধরে পুলিশে দিলেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নকশালবাড়ি স্টেশন চত্বর এলাকায় অভিযুক্ত কার্তিক লোহারকে দেখতে পেয়ে ধরে ফেলেন একাংশ বাসিন্দা। তারপর তাকে বাসিন্দারা মারধর শুরু করেন। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। ধৃতের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার শিশুটি ধর্ষণ করা ছাড়াও বছরখানেক আগে তারই দিদিকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ রয়েছে। দার্জিলিং জেলা পুলিশের সার্কেল ইন্সপেক্টর (গ্রামীণ) অনুপম মজুমদার বলেন, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত সে চিকিত্সাধীন।” এ দিকে ওই শিশুটি আপতত বিপদমুক্ত বলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন। তবে সে আরও চিকিত্সাধীন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর গা ডাকা দিয়ে এদিন বিকেলে নিজের বাড়িতে ফিরছিল কার্তিক। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে গত বুধবার রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি জাভেদ শামিমের সঙ্গে দেখা করেন ধর্ষিতা শিশুটির মা। তিনি আইজির-র কাছে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানান। স্মারকলিপি দেওয়া হয় দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরামের পক্ষ থেকেও। ফোরামের সম্পাদক অমিত সরকার বলেন, “এ ধরণের ঘটনার ফাঁসির মত কঠোর সাজা হওয়া উচিত।”
গত ২ জানুয়ারি জল খাবার নাম করে শিশুটির প্রতিবেশী কার্তিক তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। লাগোয়া জঙ্গলে তাকে ধর্ষণ করে বাড়িতে ফেলে পালায়। তারপর থেকে গা ঢাকা দিয়ে ছিল অভিযুক্ত। কার্তিকের বিরুদ্ধে ওই শিশুটির দিদিকেও এক বছর আগে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের কাছে। সেই সময় পুলিশ সঠিক ব্যবস্থা নেয়নি বলে নকশালবাড়ির বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। |